দীর্ঘ ৫২ দিনের প্রতীক্ষার পর শান্তিপূর্ণভাবে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী একত্র হয়ে প্রধান ফটক অতিক্রম করে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করেন।
এ সময় ক্যাম্পাসের মূল ফটকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও কোনো বাধা সৃষ্টি করা হয়নি। ক্যাম্পাসে ঢোকার পর শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন। তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত ছাড়া একাডেমিক কার্যক্রম এবং আবাসিক হল খুলে দেওয়া সম্ভব নয়।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা রোববার দুপুর ২টায় ক্যাম্পাসে প্রবেশের ঘোষণা দেন। উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ নানামুখী প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
ঘটনার দিন দুপুর থেকেই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে শিক্ষক ও প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আইডি কার্ড যাচাই করে তাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২৫ ফেব্রুয়ারি একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
শেষ কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোববার দুপুর ২টায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও হল দখলের ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি ঠেকাতে প্রশাসন অভিভাবকদের ফোনে এসএমএস পাঠানো থেকে শুরু করে একাধিক দপ্তরে চিঠি ও বিজ্ঞপ্তিও জারি করে।