জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে, কাউকে ছাড় না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
কাশ্মীরের হামলার ঘটনার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই জানিয়ে নিজেদের অবস্থান আগেই স্পষ্ট করেছে পাকিস্তান। কিন্তু তারপরও ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে পাঁচ বড় পদক্ষেপ নিয়েছে মোদি সরকার।
বুধবার এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি এই সিদ্ধান্তগুলোর বিষয়ে জানান।
এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- সার্ক দেশগুলোর জন্য বিশেষ ভিসা নিয়ে পাকিস্তানের নাগরিকরা ভারতে ভ্রমণ করতে পারবেন না। যারা ওই ভিসায় ইতিমধ্যেই ভারতে রয়েছেন, তাদেরও ওই ভিসা বাতিল করা হচ্ছে এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে।
এছাড়াও সিন্ধু পানিবন্টন চুক্তি অবিলম্বে স্থগিত করা এবং পাঞ্জাবের আটারি চেকপোস্ট অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ভারত।
দিল্লিতে পাকিস্তানি দূতাবাসে সে দেশের সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর যে ‘পরামর্শদাতারা’ রয়েছেন, তাদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’, অর্থাৎ অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করেছে ভারত। তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে।
ভারতও ইসলামাবাদে তাদের দূতাবাস থেকে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর পরামর্শদাতাদের ফিরিয়ে আনবে। দুই দেশের দূতাবাসেরই সামরিক পরামর্শদাতাদের পাঁচজন করে কর্মীকেও নিজের দেশে চলে যেতে হবে।
দুই দেশের রাজধানীতে অবস্থিত কর্মী সংখ্যা বর্তমানের ৫৫ থেকে কমিয়ে মের মধ্যে ৩০-এ নিয়ে আসতে হবে।