ডিসি কমিকসের নতুন সুপারহিরো ‘ব্ল্যাক অ্যাডাম’। গত ২১ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়েছে এটি। আর প্রথম তিনদিনেই রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা করেছে সিনেমাটি। ডেডলাইনের এক প্রতিবেদন অনুসারে, তিনদিনে এটির আয় ছাড়িয়েছে ১৪০ মিলিয়ন ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ৪১৩ কোটি টাকারও বেশি!
জুমি কলেট-সেররা পরিচালিত এই সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রেসলিং দুনিয়ার ‘দ্য রক’-খ্যাত ডোয়াইন জনসন। শুধু আমেরিকার বক্স অফিসেই সিনেমাটি আয় করেছে ৬৭ মিলিয়ন ডলার; বাকি ৭৩ মিলিয়ন ডলার এসেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৭৬টি বক্স অফিস থেকে।
যদিও অনেক সিনে সমালোচক ‘ব্ল্যাক অ্যাডাম’ দেখে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তবে সাধারণ দর্শক সিনেমাটি দারুণভাবে গ্রহণ করছে। বিভিন্ন দেশে মুক্তির দিনের চেয়ে পরের দিনগুলোতে দর্শকের উপস্থিতি অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। রটেন টমেটোস (সিনেমার জনপ্রিয়তা পরিমাপের একটি ওয়েবসাইট) প্ল্যাটফর্মে সিনেমাটির রেটিং ৯০ শতাংশ। যা ডিসি কমিকসের গত এক দশকে মুক্তি পাওয়া যেকোনও সিনেমার চেয়ে বেশি।
‘ব্ল্যাক অ্যাডাম’ সিনেমায় ডোয়াইন জনসন ছাড়াও অভিনয় করেছেন আলদিস হজ, নোয়াহ সেন্টিনিও, সারাহ শাহি, মারওয়ান কেনজারি প্রমুখ। সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার বাজেটে। তবে যে হারে এর আয় বাড়ছে, তাতে এক সপ্তাহ না যেতেই লাভের ঘরে ঢুকে পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
‘ব্ল্যাক অ্যাডাম’ হলো ওয়ার্নার ব্রাদার্স এবং নিউ লাইন সিনেমার চলচ্চিত্র ‘শাজাম’-এর স্পিন-অফ। চরিত্রটি প্রথম ১৯৪০-এর দশকে ডিসি কমিক্সে একজন ভিলেন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। কয়েক বছর পর ২০০০ সালে এটি অ্যান্টি-হিরো হিসেবে আবির্ভূত হয়। মিশরীয় দেবতাদের ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী ব্ল্যাক অ্যাডাম। প্রায় পাঁচ হাজার বছর পর পার্থিব সমাধি থেকে মুক্ত হয়েই আবারও কারাবন্দি হন তিনি। শুরু হয় আধুনিক বিশ্বে ন্যায়বিচার আর প্রতিশোধের এক রোমাঞ্চকর লড়াই।
ছবিটি গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও।
পিএসএন/এমঅাই