ম্যাচের প্রথম বলে ছক্কায় সাঞ্জু স্যামসন যে সূচনা দলকে এনে দিলেন, সেটিকে পূর্ণতা দিলেন আভিশেক শার্মা। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে এই ওপেনার উপহার দিলেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। তাতে যে উচ্চতায় উঠল ভারতের স্কোর, তার ধারেকাছে যেতে পারল না ইংল্যান্ড।
পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ১৫০ রানের জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
এই সংস্করণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবার একশর বেশি রানে জিতল ভারত। ২০১২ সালে কলম্বোয় বিশ্বকাপের ম্যাচে ৯০ রানের জয় ছিল আগের রেকর্ড। যেকোনো দলের বিপক্ষেই প্রথমবার একশর বেশি রানে হারল ইংল্যান্ড।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রোববার ২০ ওভারে ভারত করে ৯ উইকেটে ২৪৭ রান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যা তাদের সর্বোচ্চ। জবাবে ১০.৩ ওভারে ইংলিশরা গুটিয়ে যায় স্রেফ ৯৭ রানে।
১৩ ছক্কা ও ৭ চারে ৫৪ বলে ১৩৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ম্যাচের নায়ক আভিশেক।
এই সংস্করণে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটিই। ২০২৩ সালে আহমেদাবাদে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে শুবমান গিলের অপরাজিত ১২৬ ছিল আগের সেরা।
বাঁহাতি আভিশেকের ১৩ ছক্কাও ভারতের রেকর্ড। এর আগে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ১০টি করে ছক্কা ছিল রোহিত শার্মা, সাঞ্জু স্যামসন ও তিলাক ভার্মার।
২৪ বছর বয়সী আভিশেক এ দিন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩৭ বলে। ভারতের হয়ে যা দ্বিতীয় দ্রুততম, পূর্ণ সদস্য দুটি দলের মধ্যে ম্যাচেও দ্বিতীয় দ্রুততম। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার, একই বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সমান বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন রোহিত।
পরে এক ওভার বোলিং করে ৩ রানে ২টি উইকেটও নেন আভিশেক। ম্যাচ-সেরার লড়াইয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ ছিল না।
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ দিয়ে ১৩ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে উইকেটশূন্য থাকলেও, শেষ ম্যাচে ২৫ রানে ৩ শিকার ধরেন অভিজ্ঞ পেসার মোহাম্মদ শামি।
ইংল্যান্ডের অর্ধেকের বেশি রান একাই করেন ফিল সল্ট। ২৩ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রান করেন এই ওপেনার। আর কেউ ১০ ছাড়াতে পারেননি।