লকডাউনের মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক মানুষ বসে খাবার খেতে পারবে। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের (বিধিনিষেধ) মেয়াদ বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিধিনিষেধ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ২৪ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত আরেক দফা বাড়িয়ে রোববার (২৩ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও খাবার দোকানসমূহে আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা প্রদান করতে পারবে।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। তখন থেকেই খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহের সুযোগ রাখা হয়, বসে খাবার গ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
পরে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। চার দফা বাড়ে লকডাউনের মেয়াদ। সেই মেয়াদ শেষ হবে আজ রোববার মধ্যরাতে।
এর আগে গতকাল বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, গত বছর থেকে করোনাভাইরাসে ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে সারাদেশে প্রায় অর্ধেক হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলতে চান মালিকরা। তা না হলে রাস্তায় নামা ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় থাকবে না বলে জানিয়েছেন তারা।