কোরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্বতন্ত্র ইবাদত হিসেবে বিবেচিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা কোরবানি করার নির্দেশ দিয়ে বলেন—‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন।’ (সুরা কাউসার: ২)
সামর্থ্যবান নারী পুরুষের ওপর কোরবানি আদায় করা ওয়াজিব। কোরবানি শুদ্ধ হওয়ার শর্তসমূহের মধ্যে একটি শর্ত হলো হালাল উপার্জন থেকে কোরবানি করতে হবে। কারণ আল্লাহ হারাম কোনোকিছু গ্রহণ করেন না। রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘বৈধ ও হালাল জীবিকার ইবাদত ছাড়া কোনো প্রকার ইবাদত আল্লাহর নিকট উঠানো হয় না।’ (সহিহ বুখারি: ২/৫১১, হাদিস: ১৩৪৪; সহিহ মুসলিম: ২/৭০২, হাদিস: ১০১৪)
সুতরাং কোরবানির পশু কেনার জন্য যে টাকাটি বিক্রেতাকে দেওয়া হবে, সেটা হালাল হলেই কোরবানি শুদ্ধ হবে। এই ইবাদতের সঙ্গে হাটের হাসিলের সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ হাসিল হাট কর্তৃপক্ষের হক। এটি হাটের সুবিধা গ্রহণ করার বিনিময়ে নেওয়া হয়ে থাকে। তাই এটি আদায় করা জরুরি। যেভাবেই হোক তা হাট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
কেউ যদি এটি আদায় না করে তাহলে সে গুনাহগার হবে। কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, وَلَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ ‘আর তোমরা অন্যায়ভাবে পরস্পরের মাল গ্রাস করো না।’ (সুরা বাকারা: ১৮৮)
সুতরাং যারা হাসিল না দিলে কোরবানি হবে না বলে থাকেন, তারা ভুল বলেন। হাসিলের সম্পর্ক বান্দার হকের সঙ্গে। আর কোরবানি হচ্ছে আল্লাহর হক। মুসলিম উম্মাহকে দুই হকই পূরণ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোরবানির যাবতীয় মাসয়ালাসহ ইসলামের সকল বিধান যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
পি এস/এন আই