ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ভারতে পালানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (বুধবার) রাতে দেশের ছাত্রসমাজের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলে আওয়ামী লীগ দল থেকে প্রচার করা হয়েছে।
আর খুনি, ফ্যাসিস্ট ও পলাতক আসামির ভাষণের প্রতিবাদ জানাতে ভাষণ চলাকালীন দেশের বিভিন্ন স্থানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ভিডিও, ডকুমেন্টারি, ছবি প্রদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকেও এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আরিফ সোহেল তার ওই পোস্টে লেখেন, বাংলাদেশের ছাত্রদের ওপর নৃশংসতম গণহত্যা চালানোর পরে ছাত্রসমাজের উদ্দেশে দিল্লিতে বসে ভাষণ দেওয়ার মত ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে হাসিনা। এমন নির্লজ্জতার প্রতিবাদে আগামীকাল রাত ০৯ টায় (যখন হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কথা) ঢাকা শহরের প্রত্যেক মোড়ে মোড়ে জুলাই গণহত্যার ভিডিও, ডকুমেন্টারি, ছবি প্রদর্শন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আপনারা সারা দেশের প্রত্যেকটি মোড়ে মোড়ে, বাজার-হাটে জুলাই গণহত্যার ভিডিও প্রচার করুন। আগামীকাল রাত ০৯ টায় বাংলাদেশের সকল সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর ওপর বিশেষ বুলেটিন প্রচার করতে হবে। এখানে কোনো সুশীলতা চলবে না। করতে হবে মানে করতেই হবে।
এ ছাড়া দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর উদ্দেশেও লেখেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ সদস্য সচিব লেখেন, ‘এটাতে মিডিয়ার ইমান পরীক্ষা হবে। আর যদি কোনো টিভি-চ্যানেল হাসিনার বক্তৃতা প্রচার করার দুঃসাহস দেখায়, তবে ছাত্র-জনতা তাদের শেষ দেখে ছাড়বে। ’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহও শেখ হাসিনার ভাষণের বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘হাসিনাকে বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ দেওয়াকে বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ-বিরোধী জনগণের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ হিসেবে দেখি। ’