৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন মাদ্রাসা ছাত্র আরাফাত। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেল সম্পাদক (দপ্তর সেল) জাহিদ আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ আরাফাতের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ‘খুনি হাসিনা’ ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।
এর আগে, গতকাল দিবাগত রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক শোকবার্তায় বলা হয়, শহীদের মিছিল ভারি করে ২২ ডিসেম্বর রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ১২ বছর বয়সের কিশোর গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধা, গুলিবিদ্ধ আরাফাত শাহাদাতবরণ করেছেন। রাজধানীর সিএমএইচে চিকিৎসারত অবস্থায় কার্ডিয়াক এরেস্ট (হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে) হয়ে শাহাদাতবরণ করে (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শোক বার্তায় আরও বলা হয়, শাহাদাতবরণ যেভাবে আমাদের বেদনাতুর করে, সেভাবেই সাহস এবং উৎসাহ জোগায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের। আমরা শহীদদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়তে একবিন্দুও পিছপা হবো না। শহীদ আরাফাতের মৃত্যুসহ জুলাই গণহত্যার কুশীলব শেখ হাসিনা, তার সঙ্গী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং গুলি চালানো বাহিনীর সকল সদস্যদ্যের অতিদ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। শহীদ আরাফাতের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
একইসঙ্গে আজ বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ আরাফাতের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানানো হয়।
আরাফাতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট উত্তরার আজমপুর পূর্ব থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয় আরাফাত। এরপর প্রথমে তাকে আধুনিক হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে ফেরত দেওয়া হয়। এরপর নেওয়া হয় কুর্মিটোলা হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে সিএমএইচে পাঠানো হয়। সাড়ে ৪ মাস সেখানে ভর্তি থাকার পর রোববার রাতে সে মারা যায়।