ইউক্রেনের ৩১তম স্বাধীনতা দিবসে একটি ট্রেন স্টেশনে ভয়াবহ রকেট হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। ইউক্রেন অভিযানের ৬ মাস পূর্তির দিনে নৃশংস হামলা চালালো রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগে থেকেই সতর্ক করে আসছিলেন যে, স্বাধীনতা দিবসে বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী। তার আভাসই বাস্তবে পরিণত হলো।
বুধবার পূর্বাঞ্চলীয় শহর চ্যাপলাইনের ট্রেন স্টেশনে হামলা চালায়। একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুনও লাগে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি গাড়িতে পুড়ে পাঁচজন মারা গেছেন। এর মধ্যে ১১ বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে।
বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক চলাকালে এই হামলা করেছে রাশিয়া। এতে অর্ধশত বেসামরিক লোক আহত হয়েছেন। চারটি বগিতে আগুন লেগেছে। আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল দেশটি। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে’। হামলার ঘটনায় মস্কোর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
জেলেনস্কির সহযোগী কিরিলো টাইমোশেঙ্কো বিবৃতিতে জানান, রুশ বাহিনী চ্যাপলিনে দুই বার গোলাবর্ষণ করেছে। একটি ক্ষেপণাস্ত্র বাড়িতে আঘাত হানলে এক ছেলে নিহত হয়। পরে আরেকটি রকেট রেলওয়ে স্টেশনে আঘাত করলে ২১ জন নিহত হন।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিংকেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের বেসামরিক মানুষে ভর্তি একটি ট্রেন স্টেশনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রুশ কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার জন্য আমরা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে মিত্রদের সঙ্গে কাজ করে যাবো।
পিএসএন/এমআই