সোনালী ব্যাংক অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২০২৪ সালে ৫ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফা করেছে। আগের বছর যা ছিল ৩ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। এক বছরে মুনাফা বেড়েছে ১ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা বা ৪৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। তারল্য সংকটের মধ্যে আমানতও বেড়ে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা হয়েছে। আগের বছর শেষে ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা। এর মানে বেড়েছে ১৪ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান। এ সময় ডিএমডিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
শওকত আলী খান বলেন, সোনালী ব্যাংকের জন্য ২০২৫ সাল হবে সমৃদ্ধির পথে চলার বছর। তিনি বলেন, কর্মীরাই ব্যাংকের প্রাণ। তাদের উৎসাহিত করতে প্রায় আড়াই হাজার পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
শওকত আলী খান বলেন, ২০২৪ সাল শেষে ব্যাংকের নিট সুদ আয় বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে যা ছিল ৪৭৬ কোটি টাকা। এর মানে বেড়েছে ৯৪৯ কোটি টাকা বেশি। মূলত ব্যাংকের ঋণ-আমানত অনুপাতসীমা বাড়ার কারণেই নিট সুদ আয় বেড়েছে। অন্যান্য আয়ও বেশি হয়েছে।
ব্যাংকের এমডি জানান, সোনালী ব্যাংকে বেক্সিমকো গ্রুপের ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি অংশ খেলাপি হয়ে গেছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির রপ্তানি যেন অব্যাহত রাখা যায়, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হলমার্ক গ্রুপ ঋণের বিপরীতে যে পরিমাণ সম্পত্তি মর্টগেজ দিয়েছিল, তার অতিরিক্ত আরও ১৬৭ একর জমি নতুন করে সংযুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে খেলাপি ঋণ কমাতে কাজ করা হচ্ছে। উৎপাদনশীল খাতে ঋণ বাড়াতে সিএমএসএমই ঋণে জোর দেওয়া হয়েছে।