ঈদ কে সামনে রেখে হরিণ শিকার সহ বন অপরাধ প্রতিরোধে
আসাদুজ্জামান মিলন শরণখোলা থেকে
ঈদ কে সামনে প্রতিবছর সুন্দরবনে হরিণ শিকারী চক্র গুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে । বন সংলগ্ন বিভিন্ন পয়েন্টে শুরু হয় হরিনের মাংসের রমরমা বানিজ্য । এ ছাড়া অন্যান্য বন অপরাধীরা ও নানা সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে । ঈদ কে সামনে রেখে বন অপরাধীদের এসব অপতৎপরতা প্রতিরোধ করতে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের টহল কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশনা দিয়ে বিশেষ সতর্ক বার্তা জারী করা হয়েছে । সকল বনরক্ষীদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে ।
সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী ফরেষ্ট অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের ঈদের ছুটি বাতিল করে হরিণ শিকার ও পাচার রোধে টহল জোরদারের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা দিয়েছেন।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ( ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, বন বিভাগের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। হরিণসহ বনজ সম্পদ পাচাররোধে পূর্ব বন বিভাগের সকল রেঞ্জ, ষ্টেশন ও টহল ফাঁড়িকে সার্বক্ষনিক টহল জোরদারের নির্দেশনা দিয়ে অফিস আদেশ জারী করা হয়েছে বলে বলে জানান তিনি।
সুন্দরবন সহব্যবস্থাপনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ফরিদ খান মিন্টু বলেন, প্রতি বছর ঈদের আগে ও পরে এ অ লে হরিণের মাংসের বিশেষ চাহিদা দেখা যায়। ঈদের ছুটিতে দূর থেকে আসা অতিথি আপ্যায়নের জন্য এক এক শ্রেনীর মানুষ হরিণের মাংসের প্রতি বিশেষ দূর্বলতা দেখায় । অপরদিকে, ঈদের ছুটিতে অধিক সংখ্যক বনরক্ষী বাড়িতে যাওয়ায় শিকারীরা সে সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে ওঠে । যার কারনে প্রতিবছর ঈদের পুর্ব ও পরবর্তী সময় সুন্দরবনে বেশ কিছু হরিণ মারা পড়্ ।ে এছাড়া কাঠ পাচার ও বনের আভ্যন্তরীন নদী ও খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার প্রবনতা ও বেড়ে যায় ।
এ প্রেক্ষিতে বন বিভাগের এ বিশেষ সতর্কতা ও বনরক্ষীদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়েছেন সহ ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ বন রক্ষার কাজে নিয়োজিত সংগঠনগুলো ।
প্রসঙ্গত: অতি সম্প্রতি শরণখোলার সোনাতলা গ্রাম থেকে পর পর দুইটি হরিণের চামড়া উদ্ধার, সুন্দরবনের দুবলারচরের নীলবাড়ীয়া থেকে শিকারীদের কবল থেকে একটি ট্রলারসহ হরিণের মাংস জব্দ এবং উপজেলার মঠেরপাড় এলাকা থেকে হরিণের মাংসসহ একজনকে আটক করে বনরক্ষীরা।