২০০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় ফের বিপাকে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত ব্যবসায়ী সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে আবারও তলব করেছে ভারতের আইন প্রয়োগকারী ও অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
ইডির অভিযোগ, সুকেশ চন্দ্রশেখর তাঁর অপরাধমূলক কাজকর্ম থেকে আয় করা অবৈধ টাকা-পয়সা ব্যবহার করেছেন জ্যাকুলিনকে দেওয়া উপহারসামগ্রী কিনতে।
তদন্ত কর্মকর্তাদের দাবি, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ সুকেশ চন্দ্রশেখরের ফৌজদারি মামলায় জড়িত থাকার কথা জানতেন। সুকেশ যে বিবাহিত ছিলেন, সেকথাও তিনি জানতেন। তবু অভিনেত্রী এসব বিষয় উপেক্ষা করে সুকেশের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়েছেন।
অর্থাৎ ইডির দাবি, অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেরের সঙ্গে জেনেশুনে প্রতারণায় শামিল হয়েছেন জ্যাকুলিন। আর তাই এই আর্থিক তছরুপের মামলায় আবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জরুরি তলব করেছে ইডি। আজ (১০ জুলাই) বিকালেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে।
এর আগে ইডি আদালতকে জানিয়েছিল, জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ কখনোই সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে হওয়া আর্থিক লেনদেনের সত্যতা প্রকাশ করেননি এবং সর্বদা তথ্য গোপন করে গেছেন। তিনি আজ পর্যন্ত সত্যকে সামনে আসতে দেননি। এটাও ঠিক যে জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ সুকেশ চন্দ্রশেখরকে গ্রেপ্তার করার পরে নিজের মোবাইল থেকে সম্পূর্ণ ডেটা মুছে ফেলেছেন। যার অর্থ প্রমাণ নষ্ট করা। তিনি তাঁর সহকর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রমাণ নষ্ট করার।
এদিকে, সুকেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজও। দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে তিনি বলেন, ‘সুকেশ আমাকে ভুল পথে চালিত করেছে। আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে। আমার জীবন বিপর্যস্ত করে দিয়েছে।’