বাংলাদেশে তামাকবিরোধী সাংবাদিকতায় ফেলোশিপ দেবে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। এ ফেলোশিপ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য তামাকবিরোধী প্রতিবেদন তৈরি ও প্রকাশে সাংবাদিকদের দক্ষতা বাড়ানো। প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য থাকবে- ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আইনের সংশোধন প্রয়োজন’।
ফেলোশিপের বিভাগ:
নিম্নোক্ত ক্ষেত্রগুলোতে মোট ৪টি ফেলোশিপ প্রদান করা হবে। এগুলো হলো:
– জাতীয় প্রিন্ট মিডিয়া ফেলোশিপ (বাংলা ও ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা)
– ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ফেলোশিপ (টেলিভিশন ও রেডিও)
– অনলাইন মিডিয়া ফেলোশিপ (সরকার অনুমোদিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল)
তবে কোন ক্যাটাগরিতে ফেলোশিপ পাবার মতো প্রতিবেদন পাওয়া না গেলে অন্য ক্যাটাগারি থেকে ফেলোশিপ প্রদান করা হবে।
প্রার্থীর যোগ্যতা:
– জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও এবং সরকার অনুমোদিত অনলাইন সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক
– সংবাদমাধ্যমে ন্যূনতম ২ বছরের পূর্ণকালীন কর্ম অভিজ্ঞতা
– তামাক বিরোধী সংবাদ ও প্রতিবেদন প্রকাশে অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে
– প্রত্যক্ষভাবে কর্মরত ও নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে
আবেদনের নিয়মাবলী:
– ছবি ও সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্তসহ ই-মেইলে (pressdamhs@amic.org.bd) আগামী ২৫ এপ্রিল, ২০২১ এর মধ্যে আবেদন করতে হবে।
– ওয়ার্কশপের মাধ্যমে ফেলোশিপে অংশ নেবার সুযোগ পাবেন। এজন্য একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হবে।
নির্বাচন প্রক্রিয়া:
আগ্রহী সাংবাদিকদের আবেদন যাচাই বাছাই করে নির্বাচিতদের ওয়ার্কশপে অংশ নেবার সুযোগ দেয়া হবে। ওয়ার্কশপের জন্য নির্বাচিতদের ফোনে ও ই-মেইলে জানানো হবে।
প্রতিবেদন প্রকাশ/প্রচার:
প্রার্থী তার নিজ উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট যে কোন মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ/প্রচার এর ব্যবস্থা করবেন এবং প্রকাশিত/ প্রচারিত প্রতিবেদনের কাটিং/ লিংক/ ক্লিপিংস নিজ উদ্যোগে ই-মেইলের (pressdamhs@amic.org.bd) মাধ্যমে প্রেরণ করবেন। একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৩টি প্রতিবেদন জমা দিতে পারবেন।
সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বিবিধ:
ওয়ার্কশপে অংশ নেবার পর থেকে প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য মোট ৩০ দিন সময় দেয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের পর কোন প্রতিবেদন গ্রহণ করা হবে না। জমাকৃত প্রতিবেদন থেকে বাছাইকৃত সেরা ৪টি প্রতিবেদনের জন্য ফেলোশিপ প্রদান করা হবে। ফেলোশিপ প্রাপ্ত ব্যক্তিকে সাফল্যের সাথে অনুমোদিত কার্যক্রম সম্পাদন সাপেক্ষে তামাকবিরোধী সাংবাদিকতায় ফেলো হিসেবে সনদপত্র ও সম্মানী প্রদান করা হবে।
প্রদেয় সম্মানী:
ফেলোদের সম্মানী হিসেবে নির্বাচিত ৪ জনের প্রতিজনকে ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকা করে প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, ফেলোশিপ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।