পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগকে ‘সরকারের ট্র্যাপ (ফাঁদ)’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এবার জনগণ সরকারের কোনো ট্র্যাপে পা দেবে না। বিএনপি কোনো ট্র্যাপে পা দেবে না। আমাদের সরাসরি বক্তব্য- আমরা কোনো ট্র্যাপে যাচ্ছি না। তাদের ট্র্যাপকে উল্টে ফেলে দেবো।
আজ (সোমবার) রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাটোরের এক নেতাকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের আন্দোলন একটাই, এই সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনও নির্বাচন হবে না। আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন তো অনেক আগেই বাদ দিয়েছি, আপনারা জানেন।
কেউ যদি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় সে ক্ষেত্রে কী হবে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল কোনো মন্তব্য করেনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে যদি একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে দেখবেন যে, আওয়ামী লীগ ত্রিশটা আসন খুঁজে পাবে না। এটা হচ্ছে বাস্তবতা। সেই কারণে আজকে তারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে মামলা-মোকাদ্দমা, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আমাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিকে পণ্ড করে তারা আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসতে চায়। আমরা খুব স্পষ্ট করে বলেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান তারা যদি না নিয়ে আসে, তারা যদি পদত্যাগ না করে, তাহলে এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, নাফিজ মোহাম্মদ আলমকে (ডয়চে ভেলের একটি তথ্যচিত্রে সাক্ষাৎকার প্রদানকারী) তুলে নেওয়ার ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয় যে, র্যাব অসাংবিধানিক ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত। এখানে যারা কথা বলছে তাকেই তারা মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এটা শুধু র্যাব নয়, মূলত এর দায়-দায়িত্ব সরকারের।
র্যাব হচ্ছে রাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, তারা সরকারের আজ্ঞাবহ, সরকার যেভাবে বলছে সেভাবে কাজ করছে, র্যাবকে তারা ব্যবহার করছে। এখানে মূল দায়িত্বটা এসে পড়ে সরকারের ওপর। সেজন্য আমরা এই সরকারের পদত্যাগসহ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়েছি।