চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানার আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের বড়পোল এলাকায় আবাসিক হোটেল থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের চার দিনের মধ্যে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আশরাফুল ইসলাম সুজন (২৬) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সুজনেরও সন্দেহ, সুমি অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে।
এ সন্দেহ থেকেই সুজন খুনের পরিকল্পনা করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসার সময় ছুরি ও ঘুমের ওষুধ নিয়ে এসেছিল। সুমিকে হোটেল রুমে নিয়ে ঘুমের ওষুধমিশ্রিত পানীয় পান করায়। এ সময় সুমি অচেতন হয়ে পড়লে ছুরি দিয়ে গলা ও পেটে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় সুজন।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানার দক্ষিণ গাজীর চট এলাকা থেকে আশরাফুল ইসলাম সুজনেকে গ্রেফতার করে হালিশহর থানা পুলিশ।
আশরাফুল ইসলাম সুজন, নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার বিন্নঘুনি দিঘীর পাড় নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি বাসা ঢাকার উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে। টঙ্গীর একটি কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্মাতকোত্তর শ্রেণিতে অধ্যয়ন করা আশরাফুল উত্তরার একটি হাসপাতালে রিপোর্ট প্রদান শাখায় খণ্ডকালীন চাকরি করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে বড়পুল এলাকার ‘রোজ উড’ নামে একটি আবাসিক হোটেল থেকে গলা ও পেটে ছুরিকাঘাতে নিহত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত হওয়া গৃহবধূর নাম শাহিদা ইসলাম সুমি (৩৫)। তার বাবার বাড়ি নোয়াখালী জেলায় হলেও নগরের হালিশহরে মা-বাবা থাকেন। স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর আলম, তিনি নগরের বন্দর থানার কলসি দিঘীর পাড় এলাকায় বসবাস করেন। ওই গৃহবধূ তিন সন্তানের জননী।
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নিহত সুমির সঙ্গে সুজনের সম্পর্ক ছিল। একই সঙ্গে সুজনের সন্দেহ ছিল, পাকিস্তানি এক নাগরিকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সুমির। বিষয়টি নিয়ে দুজনের মনোমালিন্য হয়। এই সন্দেহের জেরে খুনের পরিকল্পনা করে সুজন ঢাকা থেকে আসার সময় ছুরি ও ঘুমের ওষুধ নিয়ে এসেছিল। সুমিকে হোটেলে আসতে বলেন। পরে তাকে কক্ষে নিয়ে পানির সঙ্গে ঘুমের ওষুধমিশ্রিত পানীয় পান করায় । এ সময় সে অচেতন হয়ে পড়লে ছুরি দিয়ে গলা ও পেটে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় সুজন। তার পরনের কাপড় পাল্টে মরদেহের পাশে রেখে যায়। নতুন পোশাক পরে রুম বন্ধ করে হোটেল থেকে বের হয়ে ঢাকার আশুলিয়ায় বোনের বাসায় আত্মগোপন করে।
পিএসএন/এমঅাই