অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে কিংবদন্তি হয়ে আছেন শেন ওয়ার্ন। ২০২২ সালের মার্চে না ফেরার দেশে পারি জমানো এই লেগ স্পিনার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০১টি উইকেট শিকার করেছেন। তার অবর্তমানে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্ম করছেন নাথান লায়ন।
অথচ এই নাথান লায়ন ছিলেন একজন গ্রাউন্ডসম্যান, মাঠ পরিচর্চা করাই ছিল তার প্রধান কাজ। সেই মাঠ কর্মী থেকে হয়ে গেলেন ক্রিকেট মাঠের রাজা। ১৯৮৭ সালের ২০ নভেম্বর নিউসাউথ ওয়েলসের ইয়াংয়ে জন্ম লায়নের। তিনি ম্যানুকা ওভালে চার বছরের কোর্চ শেষ করে অ্যাডিলেড ওভালের মাঠ কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন।
২০১১ সালে শ্রীলংকা সফরে টেস্ট অভিষেকে লংকান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারাকে প্রথম বলে আউট করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেন নাথান লায়ন। প্রায় ১৪ বছর পর কাল সেই গলেই দিনেশ চান্ডিমালকে ফিরিয়ে লায়ন পেলেন টেস্টে নিজের ৫৫০তম উইকেট।
গ্রাউন্ডসম্যান হিসেবে যার ক্রিকেট মাঠে পথচলা শুরু, তিনি এখন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি, টেস্ট ইতিহাসেই তার চেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন মাত্র ছয়জন। ক্রিকেটের কিছু গল্প আসলেই রূপকথার মতো!
কাকতালীয়ভাবেই সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ কোচ ড্যারেন ব্যারি খুঁজে বের করেন অ্যাডিলেডের গ্রাউন্ডসম্যান লায়নকে। বিগ ব্যাশ থেকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, তারপর ২০১১ সালের আগস্টে মাইকেল ক্লার্কের হাত থেকে ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ নিয়ে টেস্টে অভিষেক হয় লায়নের।
এশিয়ান উইকেটে একমাত্র বিদেশি বোলার হিসেবে ১৫০ উইকেট শিকারের নতুন রেকর্ড গড়েছেন নাথান লায়ন। এই নজির গড়তে গিয়ে কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নকে (১২৭) ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।
বর্তমানে লায়নের বয়স ৩৭। এরই মধ্যে ১৩৬ টেস্ট খেলে পাঁচবার ১০ উইকেট, ২৪ বার ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেছেন। অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের মধ্যে টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেটশিকারিদের তালিকায় শেন ওয়ার্ন (৭০৮) ও গ্লেন ম্যাকগ্রা (৫৬৩)। ম্যাকগ্রাকে ছাড়িয়ে ৬০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলা লায়নের জন্য খুব কঠিন কিছু মনে হচ্ছে না।