ত্বক আর চুলের পরিচর্যার পন্থা পরিবর্তনের মতোই শীতকালেও আলাদাভাবে নখের যত্ন নেওয়ার দরকার হয়।
না হলে পুরো শীত মৌসুমেই হয়ত নখ ভেঙে যাওয়া ফ্যাকাশে লাগার মতো সমস্যায় ভুগতে হবে।
এই বিষয়ে লন্ডন-ভিত্তিক নখ-পরিচার্যাকর জুলিয়া ডিওগো হুহোয়াটওয়েআর ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “প্রায়ই খেয়াল করি, আমার গ্রাহকদের হাতগুলো বিশেষ করে কিউটিকলস, শীতের সময় বেশি শুষ্ক হয়ে যায়।”
আর শীতল শুষ্ক বাতাস শুধু মুখ, চুল বা হাতের ত্বকেই প্রভাব ফেলে না। নখেরও ক্ষতি করে।
তাই চার রকমের পরিচর্যার পরামর্শ দেন এই বিশেষজ্ঞ।
কিউটিকল তেল ব্যবহার
যদি নখের গল্প পরিবর্তন করতে চান তবে একটি মাত্র পন্থা হতে পারে কিউটিকল তেল ব্যবহার- পরামর্শ দেন ডিওগো।
প্রতিরাতে প্রতিটি কিউটকল’য়ে কয়েক ফোঁটা তেল মেখে ঘুমাতে যেতে হবে। এতে শীতের শুষ্কতার প্রভাব মুক্ত থাকবে নখের চারপাশ।
আর সকাল সন্ধ্যা দুবেলা মাখতে পারলে আরও ভালো হয়।
জেল-ভিত্তিক ম্যানিকিওর এড়ানো
শীতের সময় ‘জেল-ভিত্তিক ম্যানিকিওর’ করলে হাত আরও শুষ্ক হয়ে যায়। এই কারণে ‘বায়ো স্কাল্পচার ম্যানিকিউর’ করা ভালো।
ম্যানিকিওর’য়ের পর নখের ওপর ‘বায়ো স্কাল্পচার কোট’ ব্যবহার করা উপকারী।
হাত এক্সফলিয়েট করা
মৃত কোষ দূর করতে শরীর মুখ ঘষা-মাজা যেমন জরুরি তেমনি হাতও ‘এক্সফিয়েট’ করতে হয় শীতের সময়।
এক্ষেত্রে তেল-ভিত্তিক এক্সফলিয়েটর ব্যবহার করার পরামর্শ দেন, ডিওগো। এতে হাতের ত্বক আর্দ্রতা হারাবে না।
হ্যান্ড ক্রিম সঙ্গে রাখা
ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই সবসময় ব্যাগে হ্যান্ড ক্রিম রাখার পরামর্শ দেন এই সৌন্দর্য-বিশারদ।
বাইরে যখনই হাত ধোয়া হোক বা নখ কিংবা হাতে শুষ্ক অনুভূতি হবে তখনই হ্যান্ড ক্রিম মাখতে হবে।
শিয়া বাটার, হায়ালুরনিক অ্যাসিড এবং কাঠবাদাম অর্থাৎ আমন্ড অয়েল সমৃদ্ধ ক্রিম গভীরভাবে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।