আক্রান্তদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
শরণখোলা উপজেলার সর্বত্র ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে । গত ৩০ ঘন্টায় ৩৬ জন ডায়রিয়া ও ৪১ জন নিউমোনিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এনিয়ে গত সাত দিনে ১৩৮ জন ডায়রিয়া এবং ১৬৭ জন নিউমোনিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে নারী এবং শিশুর সংখ্যাই বেশি। আবহাওয়া পরিবর্তন ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে প্রতি বছর এই সময়ে এসব রোগ ব্যাধি দেখা দেয় বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানাগেছে। তবে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে বলে সুত্রটি নিশ্চিত করেছে।
হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এস এম ফয়সাল আহমেদ বলেন, প্রতি বছর এই সময়ে শরণখোলায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগ দেখা দেয়। আবহাওয়া পরিবর্তন ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে গ্রামাঞ্চলের মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। তার তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যারা বেশি অসুস্থ্য তাদেরকে ভর্তি করা হচ্ছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২৫ জন রোগী জরুরী বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে । এ ছাড়াও গ্রামাঞ্চলে পল্লী চিকিৎসকদের কাছে প্রতিদিন অসংখ্য ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীরা ভিড় করছে বলে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে। হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার রেবা রাণী দেবনাথ জানান, হাপাতালে শয্যার চেয়ে রোগী বেশি। ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার রোগী ছাড়াও ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে সাধারণ রোগী ভর্তি আছে ৬৭ জন। অনেকে শয্যা না পেয়ে বারান্দায় বিছানা করে সেখানে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল জানান, বর্তমান সময়ে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার রোগী চাপ কিছুটা বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। আবহাওয়া পরিবর্তন , বিশুদ্ধ পানির অভাব এবং গ্রামের মায়েদের অসচেতনতার কারনে প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে শরণখোলায় এসব রোগের প্রকোপ শুরু হয়। তবে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।