ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় শুরু হয় তার শপথ অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেন ইরানের বিচার বিভাগীয় প্রধান, সংসদের স্পিকার, সামরিক-বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। রীতি অনুযায়ী উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও।
ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্স টুডের খবর অনুসারে, অনুষ্ঠানের শুরুতেই ইরানের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয় এবং এরপর পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠিত হয়। কুরআন তেলাওয়াতের পর স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংসদীয় স্পিকার মোহাম্মাদ বাকের কলিবফ এবং বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম হোসেইন মোহসেনি। তাদের বক্তব্য শেষে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন ইব্রাহিম রাইসি।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের ৭৩টি দেশের অন্তত ১১৫ জন রাষ্ট্রীয় অতিথি প্রেসিডেন্ট রাইসির শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। বাংলাদেশ থেকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে ইরানি প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
ইরানের সংসদ মজলিসে শুরায়ে ইসলামীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাইসির শপথ অনুষ্ঠানে ১০ দেশের সরকারপ্রধান, ২০ দেশের সংসদীয় স্পিকার, ১১ জন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ১০ জন অন্যান্য মন্ত্রীর পাশাপাশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের বিশেষ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আল জাজিরার খবর অনুসারে, ৬০ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসি ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পাশাপাশি ৮২ বছর বয়সী সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উত্তরসূরী হওয়ার দৌড়েও এগিয়ে রয়েছেন। অর্থাৎ খামেনির পর তিনিই হতে পারেন দেশটির সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী নেতা।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে রাইসি বলেছেন, ইরানি জনগণ চায় তিনি যেন দেশের স্বাধীনতা বজায় রাখেন ও বিদেশি হয়রানি প্রতিরোধ করেন। অবশ্য বিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক, গঠনমূলক ও ব্যাপক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠারও আশ্বাস দেন নয়া প্রেসিডেন্ট। রাইসি জানিয়েছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন হবে তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বৈদেশিক নীতি।