দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলেও লকডাউন দেওয়ার পরিস্থিতি এখনো হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
লকডাউন দেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে কোনো কথাবার্তা হয়েছে কি না জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, না, লকডাউনের সুপারিশ আমরা এখনো করিনি। লকডাউনের পরিস্থিতি এখনো হয়নি। আমাদের যাতে লকডাউনের পর্যায়ে যেতে না হয়, সেজন্যই তো আজকের এই প্রস্তুতি সভা। যা যা স্টেপ নেওয়ার আমরা তা নিই, তারপর দেখা যাক কী দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা লকডাউনে কথা ভাবছি না। এখন আমরা জোর দেব প্রতিরোধের বিষয়ে। যে সমস্ত কার্যকলাপগুলো করা প্রয়োজন, যে সমস্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা প্রয়োজন ওমিক্রন ও করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য, সেগুলোর ওপর জোর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে কি না- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিমানে যারা উঠেন, তারা তো অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উঠেন। তাদের ভ্যাকসিনেশন থাকতে হয়, আরটিপিসিআর টেস্ট করতে হয়, এন্টিজেন টেস্ট করতে হয়। কাজেই, মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার যারা তাদের ৬-৭ ঘণ্টা আগেও আসতে হয়। কাজেই এই বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্তের কথা আমরা বলিনি। তারা যাতে মাস্ক পরে আসা-যাওয়া করে, টেস্টের বিষয়টি নিচ্ছিদ্র হয়, ভুলভ্রান্তি না থাকে- এই বিষয়গুলো জোরদার করার জন্য বলা হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু থাকবে। বলা হয়েছে টিকা যাতে তারা গ্রহণ করে। যারা ছাত্র-ছাত্রী আছেন স্কুল-কলেজে, টিকা নেওয়ার বিষয়ে তাদের মধ্যে ঢিলেঢালা ভাব আছে। আমরা চাচ্ছি এটাকে যেন জোরদার করা হয়। আমরাও সহযোগিতা করবো। আমাদের পক্ষে যতটুকু দরকার সহযোগিতা আমরা করে আসছি। আমরা আহ্বান করছি, যাতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের তাড়াতাড়ি টিকা দেওয়া হয় এবং টিকার ব্যবস্থা করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, তথ্য সচিব মো. মকবুল হোসেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া মাঠ পর্যায় থেকে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), বিভাগীয় কমিশনার, স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক, সিভিল সার্জনরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বৈঠকে।