ঢাকা ও রাঙামাটি সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে আছে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাপ্তাহিক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে। বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকালে অধিদফতরের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা এই দুই জেলাকে রেড জোন ঘোষণা করা হলো কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘এটা স্বাস্থ্য অধিদফতরের সপ্তাহভিত্তিক নিয়মিত বিশ্লেষণের চিত্র। সংক্রমণ পরিস্থিতি বোঝার জন্য, বিশ্লেষণের জন্য, এটা করা হয়। সংক্রমণ পরিস্থিতি বোঝার জন্য বিভিন্ন জেলায় শনাক্ত করা হয় এবং সে অনুযায়ী আমরা লজিস্টিক সাপোর্ট, চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ এবং সতর্কবার্তা দেওয়ার কাজ করে থাকি। এটা জাতীয় পর্যায়ে রেড বা গ্রিন জোন পর্যায়ের কিছু না।’
তিনি বলেন, ‘ইন্টারপ্রিটেশনটা (ব্যাখাটা) এ রকম নয়। জেলায় রোগী কম বা বেশি পাওয়া সাপেক্ষে এমন ডিজাইন করা হয়।’
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমি জানি না এটা ওয়েবসাইটে কেন দেওয়া হয়েছে। এমনকি অধিদফতরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ আমরা কেউ এটা জানি না। সাধারণত এটা প্রকাশ করা হয় না। এটা ভুলবোঝাবুঝি তৈরি করবে। জাতীয় পর্যায়ে এ রকম কোনও বিষয়ই ঘটেনি।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র বলেন, ‘আজ যেখানে রোগী দেখাচ্ছে ৪ শতাংশ, কাল হয়তো সেখানে দুই শতাংশ হবে, অথবা বাড়বে—এটা সামগ্রিক অবস্থার রিফ্লেকশন নয়।’ তিনি বলেন, ‘এই চিত্র অযথা বিভ্রান্তি তৈরি করবে। মানুষকে কষ্টে ফেলবে। মানুষ এই নিউজ দেখলেই…রেড জোন-গ্রিন জোন নির্ধারণ করবে, অযথা কেনাকাটা, দোড়ঝাঁপ শুরু করবে। এর কোনও যুক্তি নেই।’
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘এই চিত্র…প্রতি সপ্তাহে মিটিং হয়, কোনও কোনও সপ্তাহে দুইবার মিটিং হয়। রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার দেখে সেখানে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেওয়া হয় এবং সে অনুযায়ী কাজ করা হয়। এর সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ের কোনও সম্পর্ক নেই।’
তিনি বলেন, ‘সারদেশে রোগী পাওয়া গেছে দুই হাজার। তাহলে কীভাবে সেটা রেড জোন হবে। একটা মহল্লায় যদি দুই হাজার রোগী পাওয়া যায়, তখন বলা যাবে পরিস্থিতি খারাপ।’
অধিদফতরের মুখপাত্র বলেন, ‘অধিদফতরের বানানো টেমপ্লেট এটা। এখানে পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরা হয়। এটা মিটিংয়ে তুলে ধরা হয় এবং সেই অনুয়ায়ী কাজ হয়। এটা ওয়েবসাইটে কেমন করে গেলো, আমি খুব অবাক হচ্ছি। ইরেসপনসিবল কাজ এটা। সত্যি সত্যি যখন রেড জোন—গ্রিন আমরা করবো, তখন পাবলিকলি ঘোষণা দিয়ে সবাইকে জানাবো।’
পিএসএন/এমআই