চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দেড় একজন মাহমুদউল্লাহ। ক্যারিয়ার জুড়ে চরাই-উতরাই পার করেছেন। অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার হয়েছে সমৃদ্ধ। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা কয়েকটি পারফরম্যান্স এসেছে তার ব্যাট থেকেই। আরেকটি বিশ্বকাপে তাই তার কাছে দলের চাওয়া থাকবে একটু বেশিই। সেই প্রত্যাশা পূরণে শতভাগ প্রস্তুত অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে তৈরি করা বিসিবির ‘গ্রিন অ্যান্ড রেড স্টোরির’ এবারের পর্বে থাকছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নানা কথা। যেখানে রিয়াদ জানিয়েছেন, দলের ভালোর জন্য যেকোনো উপায়ে অবদান রাখতে চান তিনি।
নিজের ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে রিয়াদ বলেন, ‘জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করাটা গর্বের। সেটা হোক সিরিজ বা কোনো আইসিসি ইভেন্ট। যখন জার্সিটা পরা হয় বা নতুন জার্সি পাই সেটা সবসময় দারুন লাগে। আমার ক্যারিয়ারজুড়েই স্ট্রাগল ছিল। সবসময় আল্লাহর ওপর ভরসা রেখেছি। আল্লাহর কাছেই সবসময় আমার যা কিছু বলার আমি বলি। আমি সবসময় বিশ্বাস করি আল্লাহ হচ্ছেন উত্তম পরিকল্পনাকারী। সবকিছুরই একটা শিক্ষনীয় বিষয় থাকে।’
ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসরে বাংলাদেশের সাফল্য একেবারেই নগণ্যই। এ প্রসঙ্গে রিয়াদ বলেন, ‘সুযোগ সবসময় থাকে, কখনো আমাদের চেষ্টার কমতি থাকে না। এবার ইনশাআল্লাহ আমরা ভালো কিছু করে দেখাব। আমার মনে হয়, একটু ভাগ্যেরও সাহায্য লাগে। আমরা কয়েকটা ইভেন্টে খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। তবে দুর্ভাগ্য আমরা সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। এবার আমাদের জন্য একটি সুযোগ রয়েছে বিশ্বকাপে। আমাদের সমর্থন করুন, বিশ্বকাপে যা সম্ভব সবই করব আমরা।’
ক্রিকেটে নিজের অনুপ্রেরণা কে, এমন প্রশ্নের জবাবে রিয়াদের জবাব, ‘ক্রিকেটে আমার যাত্রাটা আমার ভাইয়ের হাত ধরে। উনি ক্রিকেট খেলতেন। উনার হাত ধরে আমার ক্রিকেটের হাতেখড়ি। আস্তে আস্তে যখন খেলা বুঝতাম তখন সাইদ আনোয়ারকে অনুসরন করা শুরু করি। এরপর যদি বলেন, তাহলে এম এস ধোনির খেলা খুব ভালো লাগে। আমি তার বড় একজন ভক্ত। মাঠে ওনার শান্ত মনোভাব কিংবা মানসিকতা আমাকে বেশ অনুপ্রাণিত করে।’
২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। ৫০টি টেস্ট, ২৩২টি ওয়ানডে ও ১৩১টি টি-টুয়েন্টি খেলার বিশাল অভিজ্ঞতা তার ঝুলিতে। মার্কিন মুলুকে এবারের বিশ্বকাপেও তাকে ঘিরে রয়েছে বড় প্রত্যাশা।