বিদেশি তারকা ক্রিকেটার এনে শক্তি বাড়িয়েছে রংপুর রাইডার্স। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল, অস্ট্রেলিয়ার টিম ডেভিড ও ইংল্যান্ডের জেমন্স ভিন্সি খেলেছেন দলটির হয়ে। তবু এলিমিনেটরে খুলনা টাইগার্সের স্পিন ঘূর্ণিতে মহাধসে পড়ে দলটি। শেষে আকিফ জাভেদ কিছু রান করলে ১৬.৫ ওভারে ৮৫ রানে অলআউট হয় রংপুর।
ওই রান তুলে ঝামেলায় পড়তে হয়নি খুলনা টাইগার্স। ওপেনার নাঈম শেখ ও তিনে নামা অ্যালেক্স রসের ব্যাটে ১০.২ ওভারে ৯ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে মেহেদী মিরাজের দল। টানা ৮ জয়ের পর টানা ৫ হারের স্বাদ দিয়ে রংপুর রাইডার্স। তাদের বিদায় করে খুলনা পা রেখেছে বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ফরচুন বরিশাল ও চট্টগ্রাম কিংসের মধ্যকার পরাজিত দলের মুখোমুখি হবে তারা।
রংপুর রাইডার্সকে শেষ চারে তুলতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন পাকিস্তানি দুই স্পিন অলরাউন্ডার খুশদীল শাহ ও ইফতিখার আহমেদ। কিন্তু জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় খুলদীল দেশে ফিরেছেন। তারার মেলায় একাদশে সুযোগ হয়নি ইফতিখারের। বরং মিরপুরের উইকেট-কন্ডিশনের সঙ্গে অপরিচিত ভিন্সি-ডেভিডকে নামিয়ে দেয় রংপুর। যা কাজে দেয়নি।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৯ রান তুলতে পারে রংপুর। নাসুম আহমেদ দুই ওভার বল করে দুই উইকেট নেন। মিরাজ তার দ্বিতীয় ওভারে এসে উইকেট নিয়েছেন। তার প্রথম ওভারে রান আউট হন সৌম্য সরকার। ষষ্ঠ ওভারে পেস আক্রমণে এসে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। ৫০ রানে ৭ ও ৫২ রানে ৯ উইকেট হয়ে যায় রংপুর।
পাকিস্তানি বাঁ-হাতি পেসার আকিফ ১৮ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে দলকে ওই মহাবিপর্য় থেকে রক্ষা করেন। তিনি চারটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। এর আগে রংপুরের ওপেনার সৌম্য সরকার কোন বল না খেলেই শূন্য করে ফিরে যান। ইংলিশ ওপেনার ভিন্সি ৭ বল খেলে ১ রান করে বোলার নাসুমের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন। শেখ মাহেদী ৫ বল খেলে ১ রান করে বোল্ড হন। ১০ বলে ৪ রান করে ক্যাচ দেন সাইফ হাসান। সাইফউদ্দিন ৮ বলে ৮ রান করেন। আন্দ্রে রাসেল ৯ বলে ৪ রান করেন। টিম ডেভিড ৯ বলে করেন ৭ রান। ২৫ বলে নুরুল হাসানের ২৩ ছিল দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারেই বোল্ড হয়ে ফিরে যান খুলনার ওপেনার মেহেদী মিরাজ। বাকি পথটা নাঈম ও রস সহজে পাড়ি দেন। নাইম ৩৩ বলে ৪৮ রান করেন। চারটি ছক্কা ও তিনটি চারের শট খেলেন এই বাঁ-হাতি। রস ২৭ বলে ২৯ রান যোগ করেন।
রংপুরকে ধসিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন স্পিনার মেহেদী মিরাজ ও নাসুম আহমেদ। মিরাজ ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন নাসুম। মোহাম্মদ নওয়াজ, হাসান মাহমুদ ও মুশফিক হাসান একটি করে উইকেট দখল করেন।