রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বাহারাম বাদশা নামে এক কয়েদিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বিদ্রোহের চেষ্টা করেছেন অন্যরা। পরে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুর পৌনে একটার দিকে কারাগারের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। বাহারাম রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বকেরবাড়ি এলাকার বাহাদুর মিয়ার ছেলে।
কারা সূত্র জানায়, সকাল ৮টার দিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বাহারাম ও রফিকুলের মধ্যে গাছ থেকে আমরা পাড়া নিয়ে মারামারি হয়। একপর্যায়ে বাহারাম গুরুতর আহত হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে বাহারামের মৃত্যুর খবর কারাগারে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় বাহারামের অপর তিন ভাইসহ অন্য কয়েদিরা বিক্ষোভ শুরু করে কারা ফটকে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে রফিকুলের পক্ষের কয়েদিদের সঙ্গে বাহারামের ভাইসহ তাদের পক্ষের কয়েদিদের হাতাহাতি শুরু হয়।
বাহারুলের মৃত্যুকে ইস্যু করে কারাগারের ভেতরে বিশৃঙ্খলার সুযোগ নেয় কয়েদিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে কারারক্ষীদের সঙ্গে কয়েদিদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এসময় কারারক্ষীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। তবে অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ডাকা হলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে চারদিক ঘিরে রেখে কঠোর অবস্থান নেয়।
এ ঘটনায় রংপুর জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান ও ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা কারাগারের ভেতরে ছুটে যান।।
রংপুর জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান জানান, এ ঘটনায় দুই কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন, শাহজাহান ও মোতালেব। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।