প্রায় ৯ বছর পর দিল্লি ক্যাপিটালস ছাড়লেন ঋশাভ পান্ত। ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটারের দীর্ঘ অনুপস্থিতিতেও তাকে ধরে রেখেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এমনকি তার জার্সিটাও রাখা হয়েছিল দলের স্ট্যান্ডের ওপরে। লম্বা সময় পর সেই দলটাকেই বিদায় বলেছেন পান্ত। ২০২৫ আইপিএলের মেগা অকশনে দেখা যাবে তাকে। টিম ইন্ডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্যকে ছেড়ে দেয়াটাই এবারের আইপিএলের রিটেনশন তালিকার সবচেয়ে বড় বিষ্ময়।
তবে ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দিল্লিকে পান্তকে ছাড়েনি। বরং ঋষভ পান্ত নিজেই ছেড়ে দিয়েছেন দিল্লি ক্যাপিটালসকে। মালিকপক্ষের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে একমত হতে পারছিলেন না তিনি। যে কারণেই নিজের ঘর বানিয়ে ফেলা দিল্লি ক্যাপিটালস থেকে সরে আসতে চেয়েছেন পান্ত।
সবচেয়ে বড় অভিযোগ, আগামী দুই বছরের জন্য দিল্লি ক্যাপিটালসের মালিকানায় থাকা জেএমআর গ্রুপ অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল পান্তকে। সে জায়গায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছিল অক্ষর প্যাটেলকে। এবারের রিটেনশনে তাকেই সবচেয়ে বেশি দামে রেখে দেয় জেএমআর গ্রুপ।
এছাড়া হেমাঙ্গ বাদানিকে হেড কোচ এবং ভেনুগোপাল রাওকে ডিরেক্টর অব ক্রিকেট করার সিদ্ধান্তও মেনে নিতে পারেননি পান্ত। দিল্লি ক্যাপিটালসের যৌথ মালিকানার সুবাদে আগামী দুই বছর দলের সামগ্রিক নিয়ন্ত্রণ থাকবে জেএমআর গ্রুপের কাছে। নতুন দায়িত্ব পেয়েই পুরো দলকে নতুন করে সাজানোর দায়িত্ব নেয় তারা।
বিগত দুই বছর দিল্লি ক্যাপিটালসের ছিল জেএসডব্লিউ গ্রুপের হাতে। জেএমআর গ্রুপ দায়িত্বে এসেই রিকি পন্টিংকে সাত বছর পর দিল্লির হেডকোচ পদ থেকে সরিয়ে দেয়। এমনকি ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গেও সম্পর্ক শেষ করে। এসব পরিবর্তন সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেননি পান্ত। যে কারণেই দিল্লি ক্যাপিটালস থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন এই ক্রিকেটার।
২০১৬ সালে প্রথম দিল্লি ক্যাপিটালসে এসেছিলেন ঋষভ পান্ত। পরের দুই মেগা নিলামে তাকে ধরে রেখেছিল দলটি। শেষবার নিজেও ছিলেন অকশনের টেবিলে। তবে জেএমআর গ্রুপের আগমনেই কি না শেষ হলো পান্তের দিল্লি ক্যাপিটালস অধ্যায়।