চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে মানহানির ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
একই সঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, জনাব আব্দুল হাই হত্যাসহ ৯টি মামলার আসামি। আমরা সকলকে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ কথা জানায়।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক আব্দুল হাই কানুর গলায় জুতার মালা পরিয়েছেন। এসময় পাশ থেকে একজন তাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলছেন। অপরজন বলছেন, কুমিল্লা থেকে বের হয়ে যেতে। এসময় আব্দুল হাই কানু আকুতি করে বাড়ি থেকে বের হবেন না বললে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি বলেন, আমরা এতো বছর বাড়িতে থাকতে পেরেছি? এসময় আরেকজন বলে ওঠেন, আপনি পুরো গ্রামের মানুষের কাছে মাফ চাইতে পারবেন? এসময় তিনি হাতজোড় করে সবার কাছে মাফ চান। একপর্যায়ে তাকে দুই হাত ধরে দুজন ব্যক্তি সামনের দিকে নিয়ে যান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়ন ইউনিয়নের লুদিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন তিনি।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আক্তারুজ্জামান বলেন, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কয়েকজনের পরিচয় পেয়েছি। জানতে পেরেছি জড়িতরা কেউ গাজীপুর, কেউ ঢাকায় থাকেন। তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।