উপসাগরীয় অঞ্চলে মোতায়েন করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন ওই অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। ইউএসএস আব্রাহাম লিংকনের ওই অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার সময় মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বি-৫২ বোমারু বিমান, জ্বালানি বিমান ও নৌবাহিনীর বিমান বিধ্বংসী ডেস্ট্রয়ার মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে আগামী মাসগুলোতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বি-৫২ বোমারু বিমান, জ্বালানি বিমান ও বিমান বিধ্বংসী ডেস্ট্রয়ার মোতায়েন করা হবে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র মার্কিন বিমান বাহিনীর মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেছেন, ‘‘ইরান, তার অংশীদার অথবা প্রক্সিরা যদি এই মুহূর্তটিকে আমেরিকান কর্মীদের বা ওই অঞ্চলে স্বার্থকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য ব্যবহার করে, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজ জনগণ ও স্বার্থকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।’’
গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার আগে থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে বিমানবাহী দুটি রণতরী মোতায়েন রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস আব্রাহাম লিংকনের প্রত্যাহারে ওই অঞ্চলে নতুন করে রণতরী মোতায়েন না করা পর্যন্ত বিমানবাহী রণতরীর শূন্যতা তৈরি করবে।
তবে রণতরী ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন কবে নাগাদ মধ্যপ্রাচ্য ছেড়ে চলে যাবে সেই বিষয়ে পেন্টাগনের বিবৃতিতে কোনও তথ্য জানানো হয়নি।
অক্টোবরে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সরাসরি হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনার পর ওই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর সামরিক সমন্বয়ের এই ঘোষণা দিয়েছে। ইসরায়েল গাজায় ইরান-সমর্থিত হামাস এবং লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধেও লড়াই করছে। ইরান-সমর্থিত হুথি যোদ্ধাদের হামলার শিকার হয়ে ইয়েমেনেও পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
সিরিয়া, ইরাক, জর্ডান এবং ইয়েমেন উপকূল থেকে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর হামলা থেকে ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীকে রক্ষার অঙ্গীকার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।