ভোটের পর প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে এলাকাছাড়া ঝিনাইদহের হরিশংকরপুর ইউনিয়নের শতাধিক মানুষ। তারা সবাই পরাজিত নৌকার প্রার্থীর কর্মীসমর্থক। অভিযোগ রয়েছে, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের অনুসারীরা ভয়-ভীতি দেখানোর কারণে গেলো ২৬ ডিসেম্বর ভোটের পর আতঙ্কে ঘর ছাড়েন তারা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান।
২৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ সদরের হরিশংকরপুর ইউনিয়নে ভোট নেয়া হয়। চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। পরাজিত নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের দাবি, হামলার ভয়ে ফলাফল ঘোষণার রাত থেকেই এলাকাছাড়া তারা। আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে পিড়াগাতি গ্রামে। তারা বলছেন, খোলা জায়গায় সবাই মিলে থাকছেন তারা। সেখানে বড় পাত্রে রান্না চড়েছে ঘরছাড়া একদল মানুষের জন্য। গেল ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনের ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই এলাকাছাড়া এসব মানুষ। জানালেন, ঘরপরিজন ছেড়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
ঘরছাড়া সবার বাড়ি বাকড়ি গ্রামে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, অনেকটাই থমথমে অবস্থা। পুরুষশূন্য বাড়িতে আতঙ্কে স্বজনরা। বাড়ির ওপর গিয়ে গালাগালি করা থেকে শুরু করে ডিশের লাইন বিচ্ছিন্ন করাসহ নানান অভিযোগ তাদের। তারা বলছেন, পুরুষ না থাকায় নানান বিপদের আশঙ্কায় আতঙ্ক দিন কাটাচ্ছেন তারা।
তবে এলাকা ছাড়েননি নৌকার পরাজিত প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন। জোর করে হারানো হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে কর্মী-সমর্থকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি তার।
এদিকে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান খন্দকার ফারুকুজ্জামান এই ঘটনাকে বলছেন নাটক। তার দাবি, প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর সমর্থক আর অনুসারীদের ভয়ভীতি দেখানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি। দোষারোপ করার জন্যই এমন নাটক সাজিয়েছে তারা।
এদিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা বলছেন, তাদের নানাভাবে আশ্বস্ত করা হলেও এলাকায় ফেরানো যায়নি। তবু তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলেও জানালেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
হরিশংকরপুর ইউনিয়নের বাকড়ি কেন্দ্রে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট পান ১ হাজার ৩০১ আর নৌকার প্রার্থীর পক্ষে পড়ে ৪৮০ ভোট।
পিএসএন/এমঅাই