স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘ভাসমান মানুষদেরও টিকার আওতায় আনা হবে। তাদেরকে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া তিন লাখ ৩৬ হাজার টিকা ব্যবহার করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু জনসনের টিকা এক ডোজ দিলেই হয়। তাই ভাসমানদের এই টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
রোববার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) মিলনায়তনে করোনার টিকা এবং করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১৫ কোটি ৭০ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকার আওতায় এসেছে ৯ কোটি ৭০ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে ৬ কোটির বেশি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১০ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে। এছাড়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের এক কোটি ৪০ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে।’
সংক্রমণ বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে স্কুল খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে, এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করতে চায়। এটি করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছর করার পরিকল্পনা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বয়সসীমা পাঁচে নামানোর ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তারা পর্যালোচনা করে জানাবে। তাদের বার্তা পেলে টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছরে নামিয়ে আনা হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক প্রমুখ।