ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ইস্যুতে রাজনীতি প্রবেশ করবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আগামী রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে স্বস্তি থাকবে।বুধবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, একেবারে যে স্থিতিশীল না, সে বিষয়ে আমি এগ্রি করি না। জিনিসপত্রের দাম কমছে কিছুটা। আজকে আমরা চাল, মসুর ডাল আমদানির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ দুটিই খাদ্যদ্রব্য। এর আগেও আমরা অনুমোদন দিয়েছি।তিনি বলেন, ভবিষ্যতের বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। সয়াবিন তেলের দাম অনেক বেড়ে গেছে, সেটা কীভাবে কতটুকু আনা যায়, সে বিষয়ে আমরা আলাপ করেছি। এরই মধ্যে আমদানি হচ্ছে। আমরা তো সব কিছুর ডিউটি (শুল্ক) কমিয়ে দিয়েছি। অতএব একটু ধৈর্য ধরেন।এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সাপ্লাই চেইন’র ভেতরে অনেকগুলো ব্যাপার। বহুলোক সম্পৃক্ত, পরিবহনের ব্যাপার আছে, বাজারের ব্যাপার, সেগুলো অ্যাড্রেস না করলে তো…। আনলাম গুদামে রয়ে গেলো, সেগুলো তো ভোক্তার কাছে যেতে হবে।বাজারে পাঁচ লিটার বোতলের সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন তথ্য উল্লেখ করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, না এটা একটু প্রবলেম আছে। সয়াবিনের দাম বাইরে অনেক বেড়ে গেছে।সিন্ডিকেট নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট তো এক জায়গায় না। আপনি সিন্ডিকেট ভাঙতে যাবেন, কোথাও বসে আছে সে নিয়ন্ত্রণ করে। চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট আছে, পরিবহনের সিন্ডিকেট আছে, রাজনৈতিক আছে। আমি সব সময় বলি রাজনৈতিক সমঝোতা খুব কঠিন, চাঁদাবাজির সমঝোতা খুব সহজ।চলমান ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের কমার্শিয়াল ইস্যুতে, বাণিজ্যিক ব্যাপারে রাজনীতি আসছে না। ভারত থেকে চাল আমদানি করবে কি করবে না এগুলো মেটার না। যারা প্রতিযোগিতা মূল্যে দেবে, দ্রুত দেবে এবং কোয়ালিটি থাকবে, সেখান থেকে নেবো। সেটা ভারত বা বিভিন্ন দেশ হতে পারে। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলছি। ভিয়েতনামের সঙ্গে কথা বলছি। এগুলোর ব্যাপারে রাজনীতি প্রবেশ করবে না।পশ্চিমবঙ্গের একজন রাজনীতিবিদ বলেছেন বাংলাদেশে কিছু রপ্তানি করবে না। আপনারা কূটনৈতিক দেনদরবার করছেন কি না? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সেটা কূটনীতিকরা দেখবেন। ভারতে চাল, পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, যখন অতিরিক্ত থাকে তখন কোথায় বিক্রি করবে।রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে স্বস্তি থাকবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হ্যাঁ থাকবে। খেজুর এলসি হয়েছে, খেজুর চলে আসবে।ট্যাক্স কমানোর তো প্রভাব পড়তে দেখা যাচ্ছে না? এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সেটাই তো আমার জন্য একটু চিন্তার ব্যাপার। সবকিছু তো জিরো ট্যাক্স করে দিয়েছি।
You Might Also Like
সিনিয়র এডিটর
Leave a comment