ভারতে মাদরাসাগুলোকে আর্থিক সাহায্য প্রদান বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। ইতোমধ্যেই এ নিয়ে ভারতের সকল রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সম্প্রতি মাদরাসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে ভারতের জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন (এনসিপিসিআর)। তাতে মাদরাসার ‘ঐতিহাসিক ভূমিকা’ এবং শিশুদের শিক্ষার অধিকারে তার প্রভাব নিয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে।
প্রায় ১১ অধ্যায়ের ওই রিপোর্টে কমিশনের মূল পরামর্শ, রাজ্যে রাজ্যে যত মাদরাসা আছে, সেখানে আর্থিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ হোক। এবং মাদরাসাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হোক।
কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো ‘শিশু শিক্ষার গুরুত্ব’ নিয়ে বলেন, “শিক্ষার অধিকার আইনের (আরটিই ২০০৯) লক্ষ্য হলো সমতা, সামাজিক ন্যায় এবং গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা। কিন্তু তার পরেও একটি বিপরীতধর্মী চিত্র দেখা যাচ্ছে। সেখানে শিশুদের মৌলিক অধিকার এবং সংখ্যালঘুদের অধিকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে।”
কানুনগোদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র বোর্ড এবং একটি ইউডিআইএসই কোড থাকা মানেই মাদরাসা যে শিক্ষার অধিকার সংক্রান্ত আইন মানছে, এমনটা নয়। বেশ কিছু ঘটনার উদ্ধৃতি এবং উদাহরণ দিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে বলা হয়েছে, মাদ্রাসাগুলোকে যেন সাহায্য না করা হয়।
এর পাশাপাশি মুসলমান সম্প্রদায়ের শিশুকে মাদরাসায় ভর্তি না করিয়ে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর পরামর্শও দিয়েছে ভারতের এই জাতীয় কমিশন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই মাদরাসায় ডিএড এবং বিএড ডিগ্রি থাকা শিক্ষকদের বড় অংকের বেতনবৃদ্ধিতে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভা।
ডিএড থাকা মাদরাসার শিক্ষকদের বেতন ৬ থেকে বেড়ে হচ্ছে মাসিক ১৬ হাজার টাকা এবং মাধ্যমিক স্তরে পড়ানো বিএড ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের বেতন ৮ থেকে বেড়ে হচ্ছে ১৮ হাজার টাকা।