ব্রাজিলে অনলাইনে ফেরার সবুজ সংকেত পেয়েছে ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির কর্তৃপক্ষ ও সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটির মধ্যে এক মাস ধরে চলা লড়াই শেষে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার এ ঘোষণা দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকক্রাঞ্চ।এক্স প্রথমে যে কারণে নিষিদ্ধ হয়েছিল, সেগুলো মেটাতে প্ল্যাটফর্ম থেকে কিছু ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নিতে এবং দেশটিতে একজন আইনি প্রতিনিধি নিয়োগ করতে মাস্ক রাজি হয়েছিল বলে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে ব্লুমবার্গ নিউজ।
পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত এ প্ল্যাটফর্ম থেকে নির্দিষ্ট কিছু অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নিতে ব্রাজিলের আদালতের আদেশ অমান্য করায়, দেশটির আইএসপিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সেখানে এক্স প্ল্যাটফর্মে অ্যাক্সেস বন্ধ করে দিতে। ফলে সেখানকার নাগরিকরা গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে বৈধভাবে সেবাটি ব্যবহার করতে পারছিলেন না।আদালতের ওই আদেশের বিপক্ষে ব্রাজিলে এক্সের কোনো আইনি প্রতিনিধিও ছিল না।
এদিকে, ব্রাজিল সুপ্রিম কোর্টকে রক্ষণশীল কণ্ঠস্বর সেন্সর করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন মাস্ক, বিশ্ব মঞ্চেও এর কঠোর বিরোধিতা করে আসছেন তিনি। তবে, শেষ পর্যন্ত আলাদের চাপের মুখে নতি স্বীকার করে আদেশ মেনে নিয়েছেন।
সেপ্টেম্বরে ক্লাউড পরিষেবা প্রদানকারী হিসেবে ক্লাউডফ্লেয়ার ব্যবহারে ফিরে যাওয়ার পর কিছু সময়ের জন্য ব্রাজিলে অনলাইনে ফিরে আসে এক্স। সে সময়, ক্লাউডফ্লেয়ার সিইও বলেন, এক্স ‘কাকতালীয়ভাবে’ নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গেছে। যদিও এ কাকতালীয় ঘটনার জন্যই ইলন মাস্ককে অন্তত ২০ লাখ ডলার খরচ করতে হয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে টেকক্রাঞ্চ।