গ্রীষ্মকালের গরম আবহাওয়া ভালো লাগে না কারোরই। কিন্তু যদি বলি ফলের কথা, তাহলে উত্তর হবে উল্টো। নানারকম ফল সহজে পাওয়া যায় বলে জ্যৈষ্ঠকে মধু মাসও বলা হয়। নানা পদের আম বাজারে আসবে কিছুদিন পরেই। তবে স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেকেই এই ফলটি খান না। খেলেও পরিমাণে খুব কম।
আম খেলে ওজন বাড়ে, সুগার লেভেল বাড়ে, ব্রণ সমস্যা দেখা দেয়। এমনটা ভাবেন অনেকেই। আসলেই কি তা সত্য? চলুন যাচাই করে নেওয়া যাক।
আম খেলে কি ওজন বাড়ে?
অনেকেই ভাবেন, দ্রুত ওজন বাড়ায় ফলের রাজা। তাই ডায়েটে থাকলে আম খান না। তবে ব্যাপারটি পুরোপুরি ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমে ফ্যাট ও কোলেস্টেরল দুটোর পরিমাণই খুব কম। তাই এই ফল খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বরং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ আম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি।
ডায়াবেটিস রোগীরা কি আম খেতে পারবে?
আম খেলে দেহের সুগার লেভেল বেড়ে যায় বলেও মনে করেন অনেকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা ফলটি থেকে দূরে থাকেন। তবে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, আমে গ্লাইকিমিক ইনডেক্স বেশি পরিমাণ থাকে না। এই উপাদানটি দেহে সুগারের মাত্রা বাড়ানোর জন্য দায়ী।
তবে ডায়াবেটিস রোগীদের সবকিছুই মাত্রা অনুযায়ী খাওয়া উচিত। সঠিক পরিমাণে, সঠিক নিয়ম মেনে আম খেলে সুগার বাড়ার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না।
আম খেলে কি ব্রণ বাড়ে?
ব্রণ সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা মনে করেন, আম খেলে সমস্যা আরও বাড়ে। এই ধারণাটি সত্য। আমে রয়েছে ফাইটিক অ্যাসিড নামক উপাদান। এটি দেহে তাপ উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। তাই আম খেলে ব্রণ বা ত্বকের অন্যান্য সমস্যা বাড়তে পারে।
যে উপায়ে আম খেতে হবে
ছোট একটি উপায় কাজে লাগিয়ে আম খেলে এটি ওজন বাড়াবে না। দেহের সুগার লেভেলও প্রভাব ফেলবে না। ব্রণ সমস্যারও কারণ হবে না। খাওয়ার আগে আম ৩০ মিনিট পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। এতে আম তাপ উৎপন্ন করা ক্ষমতাটি অনেকটা হারায়। ফলে দেহের কোনো ক্ষতির কারণ হয় না।
আরও ভালো হয় যদি আম কেটে ভিজিয়ে রাখেন। এতে ফলের প্রাকৃতিক চিনি কিছুটা কমে যায়। এভাবে আম খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার লেভেল বাড়বে না। ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
এই মৌসুমে তাহলে নিয়ম মেনে আম খান। সুস্থ থাকুন। একদিনে অনেক বেশি আম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। পেটে হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন আপনি।
পি এস/এন আই