ময়মনসিংহের তারাকান্দায় অটো চলক সামাদ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। জানা গেছে, বন্ধুর বোনের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে খুন হয় অটোরিকশা চালক সামাদ মিয়া (১৫)।
বুধবার (৬ জুলাই) সকালে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পলাতক রয়েছে আরও দুই আসামি।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জেলার তারাকান্দা উপজেলার দাদরা গ্রামের আলাল উদ্দিনের দুই ছেলে রবিন মিয়া (১৯), রোহান মিয়া (২৪), হাটপাড়া এলাকার শাহজাহান উদ্দিনের ছেলে মো. মুস্তাফিজুর রহমান নাঈম (১৯) এবং পুঙ্গুয়াই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. শাহীনুর ইসলাম (২২)।
ডিবির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সামাদের লাশ উদ্ধারের পর নিহতের বাবা মো. শাহজাহান মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে তারাকান্দা থানার মামলা দায়ের করেন। মামলার হওয়ার পরপরই পুলিশ সুপারের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটনসহ জড়িত চারজনকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
তিনি আরও জানান, রবিন ও সামাদ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। সেই সুবাদে রবিনদের বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল সামাদের। একপর্যায়ে রবিনের ছোট বোন আকলিমার (১৩) সঙ্গে সামাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্ক থেকে কোনোভাবে ফেরাতে না পেরে আকলিমার দুই ভাই রবিন ও রোহান সামাদকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
সোমবার পূর্ব পরিকল্পনা মতে আসামি শাহীন ও পলাতক ২ জন আসামি পঙ্গুয়াই উমেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে অপেক্ষা করে। সামাদের অটোরিক্সায় চড়ে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রবিন, রোহান ও নাঈম স্কুলের নিকট পৌঁছালে তাকে স্কুলের পেছনে ঝোঁপঝাড়ের আড়ালে নিয়ে যায়। পরে প্লাস্টিকের রশি ও জালের টুকরা দিয়ে সামাদের গলায় পেচিয়ে ও নাক, মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করে হত্যা করা হয়। মরদেহ পঙ্গুয়াই উমেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সেপ্টিক ট্যাংকের মধ্যে ফেলে দিয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িত আরও দুই জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি সফিকুল ইসলাম।
এসআই