রাফা বর্ডার খুলে দেয়ার শর্তে মিসর-গাজা সীমান্তে ইসরাইলের উপস্থিতি মেনে নিয়েছে মিসর। মিডল ইস্ট আইকে অন্তত তিনজন সিনিয়র মিসরীয় কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, মিসর ও ইসরাইল একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। চুক্তি অনুযায়ী, ফিলিস্তিনিদের জন্য রাফাহ ক্রসিং পুনরায় চালু করা হবে। এর বিনিময়ে মিসর-গাজা সীমান্তে ইসরাইলি নিরাপত্তা উপস্থিতির অনুমতি দেবে মিসর।একজন মিসরীয় কূটনীতিক, জেনারেল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা এবং মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের অন্য একজনের মতে, ইসরাইল সীমান্ত এলাকার জন্য দু’টি বিকল্প উপস্থাপন করেছে। সেটি ফিলাডেলফি করিডোর নামে পরিচিত। একটি হলো ইসরাইলের জন্য মাটিতে বুট রক্ষণাবেক্ষণ করা। দ্বিতীয়টি হলো একটি ভূগর্ভস্থ বাধা, ইলেকট্রনিক পর্যবেক্ষণ সরঞ্জাম এবং মাঝে মাঝে টহল দিয়ে সৈন্যদের প্রতিস্থাপন করা।
মিসর বলেছে যে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা, বিশেষ করে হামাস বোর্ডে থাকলে তারা বিকল্পগুলোতে সম্মত হবে।তবে হামাস জোর দিয়ে বলেছে, তারা ফিলাডেলফি করিডোরসহ পুরো উপত্যকা থেকে ইসরাইলিদের সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার নিশ্চিত না করে এমন কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হবে না।হামাসের ঘনিষ্ঠ সূত্র এমইইকে বলেছে, ইসরাইল এবং মিসর কোন বিষয়ে একমত হয়েছে, সে সম্পর্কে তারা অবগত নয়। তবে এই ধরনের একটি চুক্তি বিস্ময়কর। তা আন্দোলনের জন্য অপরিহার্যভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না।
ফিলাডেলফি করিডোর হলো একটি ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১০০ মিটার-চওড়া গাজা ও মিসরের মধ্যকার সমগ্র সীমান্ত বরাবর ডিমিলিটারাইজড বাফার জোন। এটি ১৯৭৯ এবং ২০০৫ সালে দু’টি চুক্তির মাধ্যমে ইসরাইল ও মিসর নির্ধারণ করেছে। চুক্তি অনুযায়ী কোনো দেশই একতরফাভাবে ওই এলাকায় বাহিনী পাঠাতে পারবে না।কিন্তু মে মাসে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী রাফা ক্রসিং দখল করে এবং সীমান্ত বরাবর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। এমন পদক্ষেপে মিসরীয় সরকারের মুখপাত্র দিয়া রাশওয়ান ১৯৭৯ সালের শান্তি চুক্তির লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা করেছিলেন।এরপর থেকে করিডোর ও রাফাহ ক্রসিং ইস্যুতে মিসর ও ইসরাইল বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছে। একটাতে আমেরিকান উপস্থিতিও ছিল।