দক্ষিণী সিনেমায় সুন্দরী অভিনেত্রীদের তালিকায় রয়েছেন এই অভিনেত্রী ৷ যিনি শুধু অভিনয় দিয়েই নয় বরং তাঁর সৌন্দর্য দিয়েও লাখ লাখ ভক্তের মন জয় করেছেন।
একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে নিজের ছাপ রেখেছেন৷ তাঁর অভিনয়ের জন্যই দর্শকদের মনে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী৷ তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন দক্ষিণের সুন্দরী অভিনেত্রী রাম্যা কৃষ্ণণ ৷
পরিচালক কে এস রবিকুমারের সঙ্গে অভিনেত্রীর সম্পর্ক কারও কাছে গোপন ছিল না। রাম্যা এবং কেএস রবিকুমার একসঙ্গে অনেক ছবিতে কাজ করেছেন। অভিনেত্রী ১৯৯৯ সালে পদয়াপ্পা
এবং পাট্টালি
ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন। এই ছবি থেকেই পরিচিতি পেয়েছেন এই অভিনেত্রী। ২০০২ সালে রবিকুমারের পঞ্চান্তর
ছবিতে একটি এই অভিনেত্রীকে ভিন্ন চরিত্রে দেখতে পাওয়া যায়।
গণমাধ্যমের সংবাদ অনুসারে, পঞ্চান্তর
র সেটে একসঙ্গে কাজ করার সময়েই রাম্যা এবং রবি কুমার একে অপরের খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন। ঘনিষ্ঠতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে বিয়ের আগেই গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী৷ তবে শেষ পর্যন্ত পরিচালককে বিয়ে না করলেও দু`জনেই একে-অপরের সঙ্গে ডেট করেন।
জানা যায়, রবিকুমারের স্ত্রী যখন তাঁর স্বামী এবং রাম্যার সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারেন, তখন তিনি অভিনেত্রীকে হুমকিও দিয়েছিলেন। সেই সময়েই তাদের সম্পর্কের পাশাপাশি অভিনেত্রীর গর্ভধারণের খবর মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। একই সময়ে এই খবর পরিচালকের সুপ্রতিষ্ঠিত জীবনেও প্রভাব ফেলতে শুরু করে।
খবর জানাজানি হতেই পরিচালক কে এস রবিকুমার এ ইঅভিযোগ এবং সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও খবরে জানা যায়, রাম্যা কৃষ্ণাণ গর্ভপাতের জন্য কেএস রবিকুমারের কাছে ৭৫ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। কারণ তাদের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে রাম্যা বা রবি কুমার কেউই সেই সন্তানের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না এবং তারপরেই অভিনেত্রী গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেন।
৫০ পেরিয়ে গেলেই তাঁর সৌন্দর্যে এখন বুদ ভক্তরা৷ দক্ষিণী সিনেমায় সুন্দরী অভিনেত্রীদের তালিকায় আজও টেক্কা দেন তিনি৷ চার দশকেরও বেশি কর্মজীবনে রাম্যা ২৬০-টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন। বাহুবলী
-খ্যাত অভিনেত্রীর আজ কোনও পরিচয়ের প্রয়োজন নেই। নব্বইয়ের দশক থেকে তাঁর অভিনয়ের জন্য তিনি পরিচিত৷ তবে সাফল্যের সঙ্গে বিতর্কও জড়িয়ে রয়েছে রাম্যা কৃষ্ণণের সঙ্গে৷