সারাবিশ্বে এআই প্রযুক্তির বদৌলতে ভয়েস ক্লোনিং করার যে প্রবণতা সর্বত্র, তাতে বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কা করছেন ডিজিটাল বিশেষজ্ঞরা। যার ক্ষতিকর প্রভাব শিল্পক্ষেত্রেও পড়তে পারে। যারা ভয়েস ওভার শিল্পী, বাচিক শিল্পী বা নিউজ উপস্থাপক, তাদের জন্য বিপদসংকেত।
ইতোমধ্যে এআই নিউজ উপস্থাপক খবর পরিবেশন করেছে। কৌতূহলে অনেকেই এআই নিয়ে অনেক কিছুই করছি। যার ফলে অনেকে কাজ হারাতে পারেন, তা ভেবেই দেখছি না। অর্থাৎ যারা ভয়েস, ভিডিও নিয়ে কাজ করেন, তাদের কাজ হারানোর ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। এআই প্রযুক্তির সফল ব্যবহারে প্রতিষ্ঠানের খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। ফলে প্রযুক্তিটি ব্যবহারের প্রবণতা দিনের পর দিন বাড়বেই, কমবে না।
অনেকেই হয়তো রোবট সোফিয়ার কথা জানেন। সে যেমন সব কথার জবাব দেয়, তেমনই সব আবেগ ও অনুভুতিও প্রকাশ করতে পারদর্শী। সে ঘটনার বিশ্লেষণে রেগে যায়, হাসে, অপলক তাকিয়ে থাকতে পারে। যার সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করা হয় এআই প্রযুক্তির ব্যবহারে। সব কিছু পারলেও সোফিয়ার তা অনুভব করার ক্ষমতা নেই।
বলতে গেলে, এআই দিয়ে যতই বহুমাত্রিক ভয়েস আর ভিডিও তৈরি করা হোক না কেন, ওই সবের মধ্য়ে কিন্তু কোনভাবেই অনুভূতির চূড়ান্ত বর্হিঃপ্রকাশ সম্ভব নয়। গায়কের কণ্ঠও দেবে এআই। তবে একটা সময়ে এসে এআই প্রযুক্তির একঘেয়েমি কাটাতে মানুষ নিজেই বিরক্ত হয়ে আসল কন্ঠস্বরের খোঁজ করবে। ফলে প্রথম দিকে হয়তো অনেক মানুষ কাজ হারাতে পারেন। কিন্তু যারা মৌলিক শিল্পী, কাজে সুদক্ষ তাদের জায়গা এআই সহজেই নিতে পারবে না।