ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরুর পর থেকে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত বিভিন্ন অনিয়মে ৫২টি মামলা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। খাদ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, পণ্যের দাম বেশি রাখা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও মাস্ক না পরাসহ বিভিন্ন কারণে এসব মামলা করা হয়েছে। তবে অনিয়মকারীকে নগদ জরিমানা আদায় করে তাৎক্ষণিকভাবে মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার একদিনেই সন্ধ্যা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল হাসান নুর মেলা প্রাঙ্গণে অভিযান চালিয়ে ৯টি মামলা তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি করেন। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইনে দু’টি স্টলকে ২ হাজার টাকা করে ও মাস্ক না পরায় সাত জনের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়।
মেলায় মাস্ক না পড়ার কারণে যারা জরিমানা দিয়েছেন তাদের একজন জামালপুরের রাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, শ্বাসকষ্টের কারণে তিনি সবসময় মাস্ক পরতে পারেন না। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন বলে জানান তিনি।
মিরপুর থেকে আসা গৃহবধূ আম্বিয়া আক্তার বলেন, শুধুমাত্র স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এজন্য প্রত্যেকেই মাস্ক পরা উচিত।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রনব কুমার প্রামানিক বলেন, গত ১ জানুয়ারি মেলার শুরুর পর থেকে আজ পর্যন্ত তারা বাণিজ্যমেলায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়মে ২৩টি মামলা করেছেন। এসব মামলা নগদ জরিমানা আদায় করে তাৎক্ষণিক নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার উৎপাদন, প্রদর্শন, বিক্রি, পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, পণ্যের মোড়কে ওজন, উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকায়সহ বিভিন্ন কারণে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমেলার আয়োজক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, মাস্ক ছাড়া কাউকেই মেলায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেউ মাস্ক না পরলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ভোক্তার অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কিনা এ বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
পিএসএন/এমআই