সাত বছর আগে এই সিলেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। সেটা ছিল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের অভিষেক টেস্ট। চা-বাগানের সবুজে ঘেরা সেই মাঠে আবার খেলতে নেমে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে তারা ৮২ রানের লিড পেয়েছে। দ্বিতীয় দিন শেষে সেই লিড ২৫ রানে নেমে এসেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ১ উইকেটে ৫৭ রানে দিন শেষ করেছে। এর পরও জয়ের দারুণ সুযোগ দেখছেন হাফ সেঞ্চুরি করা জিম্বাবুয়ের ওপেনার ব্রায়ান বেনেট।
গতকাল সোমবার দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হিসেবে গণমাধ্যমের সামনে এসে জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেন বেনেট। বিশেষ করে, শেষ বিকেলে ওপেনার সাদমান ইসলামের উইকেট তুলে নিতে পারায় তারা কিছুটা এগিয়ে আছেন বলে মনে করছেন তিনি, ‘গতকাল (রোববার) বাংলাদেশকে ১৯১ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর শেষ দিকের পারফরম্যান্সে আমার মনে হচ্ছে, ম্যাচটি এখন ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় আছে। তবে আমার মতে, আজ বিকেলের দিকে উইকেটটি নিয়ে আমরা কিছুটা এগিয়ে আছি। কালকের (আজ) দিনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। কাল সকালে তাদের ওপর চড়াও হতে হবে। আশা করছি, চতুর্থ ইনিংসে আমাদের সামনে তারা বড় লিড দিতে পারবে না।’
তারা শুধুই কিছুটা এগিয়ে আছে না, ম্যাচটি জয়ের সুবর্ণ সুযোগ তাদের রয়েছে বলেও মনে করছেন বেনেট, ‘আমি মনে করি, ম্যাচটি জেতার দারুণ সুযোগ আছে আমাদের সামনে। এখনও আমরা ২০-৩০ রানে (আসলে ২৫) এগিয়ে আছি। আজ রাতে আমাদের বোলাররা বিশ্রাম পাবে। কাল সকালে তারা আরও উদ্যম নিয়ে নামবে। কী ঘটবে, সেটা কেউ নিশ্চয়তা দিতে পারে না। টেস্টের এখনও অনেক সময় বাকি। আগামীকাল আমরা নিজেদের সেরাটা দেব।’
গতকাল বিকেলে বোলারদের সৃষ্টি করা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশের আরও কয়েকটি উইকেট তুলে নিতে পারতেন তারা। সেজন্য কিছুটা আক্ষেপও করলেন ২১ বছর বয়সী এ ওপেনার, ‘বিকেলে আমরা দুটি ক্যাচ ফেলেছি। ক্যাচ তো কেউই ফেলতে চায় না। তার পরও হয়ে যায়। তবে এই সুযোগ নষ্টের জন্য একে অন্যকে দোষারোপ করা চলবে না, বরং পাশে দাঁড়াতে হবে।’
৬৪ বলে ৫৭ রান করে নাহিদ রানার লাফিয়ে ওঠা একটি বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। বাংলাদেশি এ পেসারের বেশ প্রশংসা করেছেন তিনি, ‘তাঁর বলে বেশ ভালো পেস রয়েছে। আমার অবশ্য ফাস্ট বল খেলতে সমস্যা হয় না। দ্রুত এলে বরং আমার মারতে সুবিধা হয়। আসলে বিষয়টা নির্ভর করে আমি বল কতটা ভালো দেখছি, তার ওপর। আমার মনে হয়, আজ আমি ওই শটটি খেলতে ভুল করেছি।’