স্মরণকালের সর্বোচ্চ মাত্রায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে। এতেই বন্যায় লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমান্তবর্তী জেলাগুলো। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে মেঘালয় রাজ্যের প্রধান সড়ক বিধ্বস্ত হয়েছে। এর ফলে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আসাম, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মণিপুর রাজ্যের। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ দিয়ে যাত্রী পরিবহনে অনুমতি চায় ভারত।
ভারতের উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, বন্যাকবলিতদের জরুরি সহায়তা এবং যাত্রী পরিবহন বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি সরবরাহও বন্ধ রয়েছে এই রাজ্যগুলোতে। বর্তমানে এই রাজ্যগুলোতে ৫ দিনের পেট্রোল এবং ৯ দিনের ডিজেল মজুদ রয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল কোম্পানি এবং ত্রিপুরা সরকার বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে যাত্রী ও জ্বালানি তেল পরিবহন করার আবেদন করেছে বাংলাদেশের কাছে।
এছাড়া ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে আগরতলা-গুয়াহাটি, আগরতলা-কলকাতা এবং আগরতলা-দিল্লি রুটে ফ্লাইটের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে আসাম-মেঘালয়- ডিএনএ ইন্ডিয়া
রাজ্য সরকার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের অফিসকে আখাউড়া ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য অনুরোধ করেছে।
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্য আসাম ও মেঘালয়ে বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। গত দুদিনে রাজ্য দুটিতে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে। পানিবন্দি ওই অঞ্চলের ৩ হাজারের বেশি গ্রাম।
বন্যায় আসাম-মেঘালয়ের ২৮টি জেলার অন্তত ১৯ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ব্রহ্মপুত্র ও গৌরাঙ্গ নদীর পানি অনেক এলাকায় বিপৎসীমার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে।
পি এস/এন আই