অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, দেশের বন্ধ থাকা চিনিকলগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে একটা টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। যেখানে আখচাষিদের প্রতিনিধিও আছেন। এ জন্য আমরা ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলাম। এখন আরও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ চিনিকল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতাবগঞ্জ চিনিকলকে সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এটি পুনরায় চালু করতে চেষ্টা চলছে। চিনিকলের দখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর চিনিকলটি পূর্ণাঙ্গ সক্ষমতা নিয়েই চালু করা হবে।
এ সময় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. লিপিকা ভদ্র, দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ চিনিকলটি ২০২০ সালে বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বিকেলে শিল্প উপদেষ্টা পঞ্চগড় চিনিকল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, আমরা বন্ধ সব কলকারখানা চালু করতে চাই। কাল-পরশু চালু হবে এমন বক্তব্য দিতে পারি না। কারখানা বন্ধের কারণে অসংখ্য মানুষ তাদের পেশা থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের আবার পেশায় ফিরিয়ে আনা, আখের জন্য উন্নতমানের বীজ দেওয়া, যারা দীর্ঘদিন চাকরি করেও পেনশন পাননি, তাদের সেটি পৌঁছে দেওয়ার কাজগুলো করার চেষ্টা করছি।
এ সময় জেলা প্রশাসক আবেদ আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয় সারজিস আলম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, জেলা জামায়াতের আমীর ইকবাল হোসাইনসহ দুইজন আখচাষি বক্তব্য দেন। পরে শিল্প উপদেষ্টা পঞ্চগড় সার্কিট হাউজ হলরুমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত জেলার পাঁচ শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।