দূরে কোথাও বেড়াতে গেলে কম সময়ে যাওয়ার জন্য অনেকেই আকাশপথ বেছে নেন। অর্থাৎ বিমানে চড়েন। যারা নিয়মিত বিমানে চড়েন তারা এয়ারপোর্ট, ফ্লাইট, এমনকি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের নিয়মকানুন সম্পর্কে জানেন। কিন্তু যাদের খুব বেশি এয়ারপোর্টে যাতায়াত নেই, বিমানে খুব একটা ঘুরে বেড়াতে অভ্যস্ত নন, তারা অনেক নিয়ম সম্পর্কে জানেন না। আবার যারা প্রথমবার বিমানে ভ্রমণ করেন, তারাও বুঝতে পারেন না কোন জিনিস কোন ব্যাগে নেবেন। হ্যান্ড ল্যাগেজে সব ধরনের জিনিস নিয়ে বিমানে ওঠা যায় না। নিলে বিপদ হতে পারে।
খাবার
কাঁচা হোক বা রান্না করা, কোনো খাবার অর্থাৎ মাছ-মাংস চেক ইন ল্যাগেজে নেওয়া যাবে না। পাশাপাশি চাল, ডাল, আটা-ময়দার মতো খাদ্যসামগ্রী নিতে পারবেন না। তেল, অ্যালকোহল, ঘি, আচার, প্যাকেটজাত খাবার, গুঁড়ো মশলা ও গোটা মশলা বিমানে নিয়ে উঠতে পারবেন না। প্রতিটা বিমান সংস্থার আলাদা আলাদা নিয়ম থাকে। ব্যাগ গোছানোর সময় সেগুলো যাচাই করে নেবেন।
নারকেল
বিমান ভ্রমণে কখনোই হ্যান্ড লাগেজে নারকেল নিবেন না। নারকেল দাহ্য পদার্থ। এতে প্রচুর পরিমাণে তেল রয়েছে। নারকেল থেকে ফ্লাইটের মধ্যে আগুন লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এটি সঙ্গে না রাখাই ভালো।
তরল পদার্থ
তরল জাতীয় পদার্থ যেমন পানি, সুগন্ধি নিয়ে বিমানে উঠবেন না। ১০০ মিলি-এর বেশি তরল চেক ইন ল্যাগেজে নেওয়া যায় না। টুথপেস্ট, সানস্ক্রিন, ময়েশ্চারাইজার, স্যানিটাইজার, লিপস্টিক থেকে শুরু করে যে কোনো ধরনের তরল পদার্থ ১০০ মিলি-এর বেশি আপনি নিতে পারবেন না।
ধারালো বস্তু
ছুরি, কাঁচি, রেজার, নেলকাটার বা যে কোনো ধারালো বস্তু চেক ইন ল্যাগেজে নেওয়া যাবেন না। এমনকি ট্রেক পোল, টেন্ট স্টেকসও নিতে পারবেন না।
বৈদ্যুতিন যন্ত্র
ল্যাপটপ, ট্যাবলেটসহ কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র চেক ইন ল্যাগেজে না রাখা ভালো। ল্যাপটপ, ট্যাবলেট রাখলে তা পাওয়ার অফ করে রাখাই ভালো। ক্যামেরা নিয়ে উঠলেও ব্যাটারি আলাদা রাখতে হয়। অনেক সময় ড্রোন ক্যামেরা নিয়ে বিমানে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয় না। বিমানে ওঠার আগে এগুলো যাচাই করে নিন।