তীব্র গরমে অতিষ্ঠ সবার জীবন। একটু স্বস্তি পেতে ঘরে আনছেন এসি। রকম ফেরে এসব এসির দামও বেশ উচ্চ। তাই অনেকেই বাজেট স্বল্পতায় নিচ্ছেন পুরোনো এসি কেনার সিদ্ধান্ত। আর এই পুরোনো এসি পাওয়াও যায় নতুন এসির দুই তিন গুণ কম দামে। এমনকি কোথাও কোথাও মাত্র ১৫-২৫ হাজারেও পাওয়া যাচ্ছে এসি। ঢাকার মিরপুর, বারিধারাসহ বিভিন্ন জায়গায়ই পাওয়া যাচ্ছে এমন এসি। তবে কম দামে এসি কিনতে গিয়ে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
পুরোনো এসির অনেকগুলোরই বিদ্যুৎ খরচ বেশি হওয়া, ওয়ারেন্টি না থাকাসহ জানা অজানা নানা সমস্যাই থাকতে পারে। তাই এমন এসি কেনার আগে মাথায় রাখতে হবে বেশ কিছু বিষয়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক-
পুরোনো ও সেকেন্ড হ্যান্ড এসি কেনার আগে দেখে নিন এসি ভালো ব্র্যান্ডের কিনা। উক্ত ব্র্যান্ডের এসির সুনাম ও রিভিউ দেখে নিন। একইসঙ্গে এসির কাগজপত্রগুলো চেক করে নিন। মেরামত করার প্রয়োজন হলে কোনো ধরনের সুবিধা পাবেন কিনা, সে সুবিধাগুলো কী– সেসব জেনে নিন।
কেনার আগে এসির ফিল্টার স্ট্যাটাস দেখে নিন। ফিল্টার স্ট্যাটাসের সঙ্গে এসির কার্যকারিতা ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। খুব বেশি পুরোনো ফিল্টারের এসি কেনা ঠিক নয়।
সেকেন্ড হ্যান্ড এসি কেনার আগে গ্যাসের মাত্রা ভালো করে দেখে নিন। ভবিষ্যতে গ্যাস লিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা তাও পরখ করুন।
বিদ্যুৎ খরচ কেমন হবে, ইনভার্টারসহ কিনা সেসব বিষয় যাচাই করে নিন। ইনভার্টারসহ এসি কেনার চেষ্টা করুন। ইনভার্টার থাকলে ঘর ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর কম্প্রেসর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। আবার কম ক্যাপাসিটিতেও চলতে পারে। নয়তো বিদ্যুতের বিল দিতে দিতে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাবে।
কেনার আগে এসির দক্ষতা জেনে নিন। স্টার রেটিং দিয়ে এসির দক্ষতা পরিমাপ করা হয়। স্টার রেটিং বেশি থাকার মানে হলো বিদ্যুৎ খরচ কম হবে। এসি কিনলে খরচ কম হবে এমন এসি কেনাই ভালো।
ঘরের মাপ বুঝে এসি কিনুন। ঘরের মাপের চেয়ে খুব বেশি ছোট বা বড় এসি কিনলে রুম ঠান্ডা হবে না অথবা রুম অতিরিক্ত ঠান্ডা হয়ে যাবে। অর্থাৎ অনেক ধরনের উটকো ঝামেলা পোহাতে হবে।
পুরোনো ও নতুন এসির দামের পার্থক্য দেখে নিন। যদি খুব কম পার্থক্য থাকে কিংবা যেখান থেকে কিনবেন সেখানে কয়েক ভাগে পেমেন্টের সুযোগ থাকে, তবে নতুন এসি কেনা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।