পাইকগাছায় ভিজিডির সাত বস্তা চাল ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম থেকে পাচারের সময় জব্দ করেছেন স্থানীয়রা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে পুলিশ জব্দকৃত ভ্যানসহ চাল ও ভ্যান চালক কে থানায় নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের হয়নি। ভিজিডির সংরক্ষিত জায়গা থেকে পাচার করা না হলে এ চাল আসল কোথার থেকে? কাহারও না কাহারও হাত নিশ্চিত আছে। কে কে জড়িত। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে কি? এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা। উপজেলার রাড়ুলি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, ভিজিডির ৬২০ বস্তা চাল পরিষদের গুদামে সংরক্ষিত আছে। যা ৩১০ ব্যক্তি দুই মাসে ২ বস্তা করে চাল পাবেন। মঙ্গলবার থেকে এ চাল দেওয়া কথা। চাল পাচারের কথা অস্বীকার করেন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। ইউপি সদস্য সাইফুল জানান, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।’
স্থানীয় দু’জন জনপ্রতিনিধির চাল না হলে এচাল আসলো কোথার থেকে? বা যাচ্ছিল কোথায়? এভাবে পাচার হতে থাকলে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গরীব অসহায়দের মাঝে আদৌ পৌঁছাবে না। তারা হবে বঞ্চিত। আর অপরাধীরা বার বার এধরনের নেক্কার জনক কাজ করতে থাকবে বলে জানান সুধীজনেরা।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাকিম গোলদার জানান, আমি নিজেই রোববার সকাল ৬ টায় ভ্যান সহ ৭ বস্তায় ২১০ কেজি চাল রাড়ুলি আরকেবিকে হরিশ্চন্দ্র ইনস্টিটিউটের পাশে রাস্তার ওপর থেকে জব্দ করি। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করি। ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, মালিক বিহীন আমরা জব্দ করেছি। সরকারি দপ্তর থেকে এজহার বা কোন বিষয় নিয়ে আসে নাই। গরিব ভ্যান চালক কে আপাতত মুচলেকা দিয়ে ছাড়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন, চাল পাচারের সংবাদ পাওয়া মাত্রই নির্দেশনা মোতাবেক পুলিশ চাল জব্দ করেছে। চালের তথ্য অনুসন্ধানে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান উপজেলা প্রশাসনের এ কর্মকর্তা।