পরকীয়া সম্পর্কে না জড়ানোর শর্তে স্ত্রীর পরিবারের কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। কিন্তু টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়া স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছেন। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঘটেছে এ ঘটনা। স্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গাজীপুর থেকে অভিযুক্ত স্বামী রাজুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক রাজুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, রাজুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলে সে ঢাকা পালিয়ে যায়। এরপর তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান সনাক্ত করে পুলিশ গাজীপুর থেকে মঙ্গলবার রাতে রাজুকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত রাজু চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট চর যমুনা গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। রাজুর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস উপজেলার দুলারহাট থানার চরতোফাজ্জল গ্রামের জাহাঙ্গীরের মেয়ে।
থানায় দায়েরকৃত মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজুর সঙ্গে জান্নাতের সাত বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ছয় বছরের ছেলে রয়েছে।বিয়ের আনুমানিক ৪/৫ বছর পরে রাজু অন্য এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। স্বামীর পরকীয়া নিয়ে স্ত্রী জান্নাত প্রতিবাদ করলে শুক্রবার রাতে তাকে বেদম মারধর করে।
এ নিয়ে কয়েক মাস আগে সমঝোতা হয় ভবিষ্যতে রাজু ওই নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়াবেন না। এমন শর্তে ব্যবসার জন্য রাজু ৬ লাখ টাকা দাবি করে জান্নাতের পরিবারের কাছে। দাবিকৃত টাকা দিতে রাজি না পারায় ৪ এপ্রিল দুলারহাট বাজারে একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী জান্নাতকে বেদম মারধর করে রাজু। নির্যাতনের এই খবর পেয়ে জান্নাতের বাবার বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করে।
১৫ জুন জান্নাত নিজেই বাদী হয়ে দুলারহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার থানার ওসি মোরাদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, মামলা হওয়ার পরে রাজু এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।প্রযুক্তির ব্যবহার করে অবস্থান সনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা করে রাজুকে গ্রেফতার করা হয়।
পি এস/এন আই