সদ্য অনুষ্ঠিত পঞ্চম ধাপের ৭০৭টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা নির্বাচনী যে কোনো অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট জেলার সিনিয়র সহকারী জজকে নিয়ে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করা হয়েছে।
ইসির আইন শাখার উপ-সচিব আফরোজা শিউলীর গত ৪ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
গত ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্চম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ১৯৩ জন প্রার্থী।
এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪৮ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৩৩ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ১১২ প্রার্থী রয়েছেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ হাজার ২৭৪ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭ হাজার ৯৫০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৫ হাজার ২৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এদের কেউ বা তাদের পক্ষে যে কোনো ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালে যেতে পারবেন।
আইন অনুযায়ী, নির্বাচনী ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হয়। ট্রাইব্যুনাল তা ১৮০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে কেউ সন্তুষ্ট না হলে, সেই রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আবার আপিল ট্রাইব্যুনালে যাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে আপিল ট্রাইব্যুনালও আবেদনের ১৮০ দিনের মধ্যে রায় দেবেন।
অনিয়মের জন্য ‘নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল ও সামগ্রিক নির্বাচন বাতিলের আবেদন করা যাবে। ’ এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অপরাধ সংঘঠিত হওয়ার স্থান, সময় ও তারিখ স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে। উভয় পক্ষের শুনানির পর ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনাল যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটাই চূড়ান্ত হবে।
নির্বাচিত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ হলে, নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হলে, দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে ভোটের ফল অর্জন বা ফল অর্জনের জন্য কার্যকলাপ বা আচরণ করা হলে, নির্বাচিত প্রার্থী তার এজেন্ট বা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যোগসাজশ করে কোনো দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপ বা বেআইনি আচরণ করলে ও নির্বাচনী ব্যয়সীমা লঙ্ঘন করলে ট্রাইব্যুনাল নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল করতে পারবেন।
আবেদনকারী শুনানিতে হাজিরা দিতে না এলে বা অনুপস্থিত থাকলে বা মৃত্যুবরণ করলে আবেদন বা আপিল বাতিল হয়ে যাবে।
আবেদনকারী শুনানির যে কোনো সময় আবেদন বা আপিল প্রত্যাহার করতে পারবেন। এছাড়া ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনালের খরচ আবেদনকারীকেই বহন করতে হবে।
ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭৭৩টি ইউপিতে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আমরা তফসিল দিয়েছি ৪ হাজার ১৩৮টি ইউপিতে। টোটাল ইউপি হলো ৪ হাজার ৫৭৪টি। ৪৩৬টি ইউপি নিয়ে মামলা ও সীমানা জটিলতা থাকায় নির্বাচন করা যায়নি।
ষষ্ঠ ধাপের ভোট হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। আর সপ্তম ধাপে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এছাড়া ১০ ফেব্রুয়ারি আটটি ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পিএসএন/এমঅাই