ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে হত্যা করতে ‘বিশেষ বাহিনী গঠন’ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর দ্য মিররের।
ওয়াগনার নামে ‘ভাড়াটে’ ওই বাহিনীটির সদস্যরা সবাই সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সদস্য।
ওই বাহিনীটির এক সদস্য জানিয়েছেন, জেলেনস্কিকে হত্যা করতে গত এক মাস ধরে তারা ইউক্রেনে অবস্থান করছেন। মিশন সফল করতে তাদের হাতে অত্যাধুনিক ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র তুলে দিয়েছে রাশিয়া।
ওয়াগনার বাহিনীতে আছে রাশিয়া, বেলারুশ, সার্বিয়া ও ইউক্রেনের ৪০০ সেনা সদস্য। তাদের মধ্যে হত্যা, ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলায় চাকরি হারানো অনেক সেনা সদস্যও রয়েছেন।
ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলেনস্কি ছাড়াও পুতিনের এ বিশেষ বাহিনীর টার্গেটে আছেন দেশটির আরও ২৩ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা। তারা কেবল পুতিনের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন। নির্দেশ পাওয়া মাত্র ওই বাহিনী জেলেনস্কির সরকার পতন ঘটাবে।
ওই বাহিনী পুতিনের লক্ষ্য পূরণ করতে পারলে পাবে বিশেষ পুরস্কার। একই সঙ্গে তাদের ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
তবে উল্লিখিত এসব তথ্যই প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। এরপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ধ্বংস করে বিভিন্ন বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে পালাচ্ছে লাখো মানুষ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনারা।
এদিকে ইউক্রেনে হামলা চালানোর রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন পশ্চিমা দেশগুলো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ান বিমান নিজেদের আকাশপথ নিষিদ্ধ করে। পাল্টা ব্যবস্থা পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, স্পেন, ইতালি, কানাডাসহ ৩৬টি দেশের এয়ারলাইনসের ফ্লাইট নিষিদ্ধ করে রাশিয়া।
আরও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে পারমাণবিক বোমা সক্রিয় করা হয়েছে। এখন যুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে এই বিধ্বংসী বোমার ব্যবহার করতে পারবে রুশ সামরিক বাহিনী।
যুদ্ধবিরতিতে আসতে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলারুশে প্রথমবার আলোচনায় বসে রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল। তবে আলোচনায় কোনো সমাধান আসেনি। দুই দেশেই দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসতে হয়েছে।
পিএসএন/এমঅাই