প্রথম ইনিংসের মতো ব্যাটিং বিপর্যয়ে আবারও অল্পতে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ল আফগানিস্তান। খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুললেন রেহমাত শাহ। আগের টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান ফের পেলেন তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া। সঙ্গে অভিষিক্ত ইসমাত আলমের অপরাজিত ফিফটিতে দুইশ ছাড়াল তাদের লিড।
বুলাওয়ায়োতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে আফগানিস্তান। প্রথম ইনিংসে ১৫৭ রানে গুটিয়ে যাওয়া দলটি এখন এগিয়ে ২০৫ রানে।
৬৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়া আফগানদের রান তিনশ কাছে যায় রেহমাতের সৌজন্যে। ১৪ চারে ১৩৯ রানের ইনিংস খেলেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। দুই দলের ড্র হওয়া প্রথম টেস্টে ২৩৪ রান করেছিলেন তিনি।
এনিয়ে টেস্টে তিনটি সেঞ্চুরি হলো রেহমাতের, আফগানদের হয়ে যা সর্বোচ্চ। দুটি আছে হাশমাতউল্লাহ শাহিদির, তার সেই দুটিই ডাবল।
দলের চরম বিপদে রেহমাতকে সঙ্গ দিয়ে ১৩২ রানের জুটি গড়েন ইসমাত। টেস্টে সপ্তম উইকেটে যা আফগানদের রেকর্ড। অভিষেকেই আলো ছড়ানো ইসমাত ৪টি চারে ৬৪ রানে অপরাজিত। ১২ রান নিয়ে খেলছেন রাশিদ খান।
৩ উইকেটে ৪৬ রান নিয়ে শনিবার ব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তান দ্রুত হারায় জিয়া-উর-রেহমানকে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আফসার জাজাইও পারেননি টিকতে। দুইজনই রিচার্ড এনগারাভার শিকার।
কিছুক্ষণ পর হানা দেয় বৃষ্টি। পরে খেলা শুরু হলে চাপে পড়া দলের হাল ধরেন রেহমাত। ১৬ রান নিয়ে খেলতে নামা ব্যাটসম্যান ফিফটি করেন ৯৯ বলে। তাকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন শাহিদউল্লাহ। তাদের দুইজনের জুটিতে আসে ৬৭ রান।
২২ রান করা শাহিদউল্লাহকে ফিরিয়ে জমে যাওয়া জুটি ভাঙেন ব্লেসিং মুজারাবানি। এরপর ইসমাতকে নিয়ে দলের রান বাড়ান রেহমাত। দারুণ ছন্দে থাকা ব্যাটসম্যান কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কে পা রাখেন ২০৯ বলে।
সেঞ্চুরির পর দেড়শর দিকে ছুটছিলেন রেহমাত। কিন্তু এর আগেই তাকে এলবিডব্লিউ করে ড্রেসিং রুমে পাঠান মুজারাবানি। রেহমাতের চমৎকার ইনিংসের ইতি ঘটার সঙ্গে ভাঙে শতরানের জুটি।
এরপর কিছুক্ষণ খেলা হওয়ার পর ফের নামে বৃষ্টি। এতে দিনের খেলা আগেভাগে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়াররা।