বলেছেন, বাংলাদেশ এক সময় মসলিনের জন্য বিশ্বে পরিচিত ছিল। দেশে গোল্ড রিফাইনারি ফ্যাক্টরি হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে স্বর্ণ রফতানি করা হবে। আমি মনে করি মসলিনের সুনাম স্বর্ণ দিয়ে পুনরুদ্ধার করতে পারব। আপনারা (বাজুস) দেশে গোল্ড ব্যাংক করার দাবি জানিয়েছেন আমরা এই বিষয়ে ভেবে দেখব। প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব গেলে তিনি রাজি হয়ে যাবেন বলে বিশ্বাস করি।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশে যারা স্বর্ণকার বা স্বর্ণ শিল্পী তাদের হাতের কাজ অনেক সুন্দর। বংশ পরস্পরায় তারা স্বর্ণের কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে স্বর্ণ রফতানি করা হবে। তাদের এই কাজের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারেও খ্যাতি লাভ করা সম্ভব। এই শিল্পের মূল্য অনেক। অল্প একটু স্বর্ণের দাম লাখ লাখ টাকা। আমাদের রফতানিও অনেক বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, বলতে বাধা নাই সরকারের অফিসে কাজ বের করা অনেক কঠিন। সারাজীবন ব্যবসার সাথে ছিলাম তখন বুঝেছি এখন মন্ত্রী হয়েও আরেক অভিজ্ঞতা হলো। সবকিছু দেখছি সত্যিকার অর্থেই সবকিছু ভীষণ সমস্যা। পদে পদে বাধা তারপরও আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশটাকে এগিয়ে এনেছি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গোল্ড ব্যাংক করার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেলেই তিনি রাজি হয়ে যাবেন বলে আমার বিশ্বাস। আমরা এ বছর ৫১ বিলিয়ন ডলার রফতানির টার্গেট করেছি। ২০২৪ সালের মধ্যে ৮০ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই দেখি রফতানি লক্ষ্যমাত্রা কতটুকু পূরণ হয়েছে। আর কতটুকু বাকি। ব্যবসায়ীদের মাধ্যমেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। আপনাদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে সরকার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে স্বর্ণের রিফাইনারি ফ্যাক্টরি হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বর্ণ শিল্পীরা সারা বিশ্বে বিখ্যাত। গার্মেন্টস শিল্পকে জুয়েলারি শিল্প ছাড়িয়ে যাবে। বিশ্বে স্বর্ণ রফতানি করলে টাকা রাখার জায়গা থাকবে না। কারণ স্বর্ণের দাম বিশ্বে অনেক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছে। তবে দেশের জন্য বেশি কিছু করে যেতে পারেনি। তার আগেই সপরিবারে তাকে হত্যা করা হয়। তিনি বেঁচে থাকলে পঞ্চাশ বছর আগেই গোল্ড রিফাইনারি ফ্যাক্টরি হয়ে যেত।
বাজুসের সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া জুয়েলারি সমিতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি আমাদের অভিভাবক সবসময় আমাদের পাশে থেকেছেন। আমরা এখন থেকে স্বর্ণ রফতানি করব। আমি দেশের বাইরে গেলে সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা বলেন, বাংলাদেশ একটি কারখানা করেন আমরা এসে কাজ করব। আমরা চাই দেশে এসে কাজ করতে। বাইরে কাজ করতে ভালো লাগে না।
পিএসএন/এমআই