শীতের সকালে ছাদে বসে সাংসারিক কাজ করছিলেন মুন্নি আক্তার কণা। তাঁর স্বামী ছিলেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে ছিল স্কুলে। এ সময় হঠাৎ কিছু একটা ভাঙার শব্দ পান মুন্নি। দ্রুত ছাদ থেকে নেমে দেখেন ঘরে দুই অপরিচিত লোক। তারা কী যে খোঁজাখুঁজি করছে। তাদের দেখে প্রথমে আঁতকে ওঠেন মুন্নি। তবে সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে তাদের আটকে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে দু’জনকে ধরে নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার খোকসা থানা সদরের স্কুলপাড়ার শাজাহান মাস্টারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মুন্নির সাহসিকতার প্রশংসা করছেন এলাকাবাসী। গ্রেপ্তার দু’জন হলো– জাকির হোসেন ও খলিল। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
মুন্নি বলেন, ‘সকালে আমি বাড়ির ছাদে বসে কাজ করছিলাম। বাসার অন্য ভাড়াটিয়ারা যে যাঁর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। একপর্যায়ে আমার ফ্ল্যাটে ফিরে দরজার তালা ভাঙা দেখতে পাই। এ সময় দেখি দুই লোক ঘরের আসবাব তছনছ করছে। আমি বুদ্ধি খাটিয়ে ঘরের দরজা হ্যাজবোল্ড দিয়ে একজনকে আটকে ফেলি। আরেকজনকে লোহার কেচি গেটের মধ্যে আটকে দিই। এর পর আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে।’
মুন্নির স্বামীর নাম আসাদুজ্জামান। খোকসা বাজারে তাঁর ইলেকট্রিকসামগ্রীর দোকান রয়েছে। গতকালের ঘটনায় একটি স্বর্ণের আংটি ও ১৫ হাজার টাকা খোয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মুন্নি।
খোকসা থানার ওসি শেখ মাঈনুল ইসলাম বলেন, জাকির ও খলিল ডাকাতি করতে এসেছিল। এ সময় মুন্নির সাহসিকতায় তারা ধরা পড়ে। ওই নারী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।